এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক বস্তি পরিবার তাদের কষ্টার্জিত অবকাঠামোসহ মালামাল নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন মাহমুদ বিপুল সংখ্যক পুলিশ নিয়ে লাউকাঠী নদী রক্ষায় লঞ্চঘাটের পশ্চিম পাশ থেকে শুরু করে, পশ্চিম দিকে অগ্রসর উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। এ অভিযান দেখে নদীর তীরের বস্তিবাসীরা স্ব উদ্যোগে তাদের অবকাঠামোসহ উচ্ছেদকৃত বাড়িঘর এর মালামাল লাউকাঠি নদীর সন্নিকটে স্বনির্ভর রোডের শহীদ আলাউদ্দিন শিশু পার্ক মাঠে নিয়ে রাখতে দেখা গেছে।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন মাহমুদ জানান লাউকাঠী নদী রক্ষায় নদী রক্ষা কমিশনসহ সংশ্লিস্ট দপ্তর সমূহের সমন্বয়ে লঞ্চঘাট থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত নদীর তীরে যাদের আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাদের ব্যতিত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদী খননের কাজ শুরু করা হবে। লঞ্চঘাট থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত প্রায় ২০ একর জমিতে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এ জমি উদ্ধারের কাজ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
এ অভিযানে বস্তিবাসী তাদের মালামাল নিয়ে পরেছে বিপাকে। এ সময় তারা অনেক কাকুতি-মিনতি ও আর্তনাদ ও আহাজারির মাধ্যমে তাদের বাড়িঘর না ভাঙার জন্য অনুরোধ করেন স্থানীয় প্রশাসনকে। একাধিক বস্তিবাসী জানান, সরকারী জায়গায় ঘরতুলে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি। প্রশাসনের লোকজন অভিযান করছে, তাই আমাদের ঘর দুয়ার সরাইয়া নিতেছি। এখন আমাদের থাকার কোন জায়গা নাই বললেন, লাউকাঠি তীর ঘেঁষা স্বনির্ভর রোডের বস্তির আলমগীর, রুস্তম, আসমা, শিল্পী, সালেহা বেগমরা। আমাদের জন্য সরকার কিছু না করলে, আমাদের অনেক কস্ট হবে।