গাজী এনামুল হক (লিটন)
স্টাফ রিপোর্টারঃ
পিরোজপুর ভান্ডারিয়ায় ভুয়া ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রভাষক নিয়োগ, ২০ বছরে কয়েক লক্ষ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ।
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া মজিদা বেগম মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক খলীলুর রহমানের রিরুদ্ধে নিয়োগে তথ্য গোপন ও জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এম,পি,ও ভুক্তি করন ও টাকা সরকারী তহবিল থেকে প্রায় কোটি টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
স্হানীয় অভিভাবক সানাউল্লাহ ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবকের কাছ থেকে জানা যায়, খলীলুর রহমান অবৈধ ভাবে নিয়োগে জালিয়াতি, তথ্য গোপন,এম,এম,পি ভুক্তি করন ও ২০ বছর ধরে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে প্রায় কোটি টাকা উত্তোলন করিয়াছেন ।
বিবরনে জানা যায়, খলিলুর রহমান , এম, এ কোঠায় নিয়োগ প্রাপ্ত কথিত সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের তৃতীয় শিক্ষক ( প্রভাষক) হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েও শিক্ষা অধিদপ্তরর কর্মকর্তাদেরকে ভুল তথ্য প্রদান করিয়া ( মা.উ.শি) কর্তৃক এম,পি,ও ভুক্ত হয়েছেন,অথচ এম ,এস,এস ক্লাস চালু করার জন্য গত ১৫/০৯/ ২০০০ ইং খ্রি: এম,এস,এস এ সমাজ বিজ্ঞান বিষয় প্রভাষক নিয়োগের জন্য স্বাক্ষাৎকার বোর্ডের সিদ্ধান্তনুযায়ী ১ম স্হান অধিকারী আশা ইয়াছমিন ,২য় স্হান খালেদা মাস্তব ও তৃতীয় স্হান অধিকারী খলীলুর রহমান( ০৩) জনকে এম,এ ক্লাসের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। যা ৯/ ২০০০ নং সভার ১৮/০৯/ ২০০০রেজুলেশনে উল্লেখ আছে। এবং খলীলুর রহমান এম,এ কোঠার তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ হয়ে ২৫/০৯/ ২০০০ ইং তারিখে অত্র কলেজে যোগদান করারও প্রমান পাওয়াগেছে।
এখানে উল্লেখ্য, এম,এ কোঠায় ডি,জি থেকে বিল প্রদানের ক্ষেত্রে খলীলুর রহমান ও অন্য ২জনের আবেদন এম,পি,ও সভায় উঠলে বেতন ভাতা দেয়ার জন্য অনুমোদিত হয় যাহার সভা নং ০২/ ২০০১ ইং।
কিন্তু বেসরকারি কলেজে এম,এ কোঠার শিক্ষক দের জন্য অদ্যাবধি এম,পি,ও ভুক্তির কোন বিধান বা পরিপত্র চালু হয় নাই। তবে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ডিগ্রী পর্যায়ে তৃতীয় শিক্ষকের জন্য বেতন ভাতা দেয়ার সুপারিশ থাকায় অবৈধভাবে ,জালিয়াতি ও তথ্য গোপন করে নুতন কাগজপত্র তৈরী করে শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়া ডিগ্রী কোঠায় তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেখাইয়া কাগজপত্র ফরওয়ার্ডিং তৈরী করে ডি,জি থেকে এম,পি,ও ভুক্ত হন এবং ২০০২ সাল থেকে অবৈধভাবে অদ্যাবধি সরকারি অর্থ উত্তোলন করে আসছেন।
এ নিয়ে স্হানীয় অভিভাবক সানাউল ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় অভিভাবক বলেন, কি ভাবে এটা সম্ভব ? কোন শক্তির বলে কয়েকটি ধাপ ও অফিস অতিক্রম করে বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন সবাই জানতে চাই। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদনের মাধ্যমেও জানানো হয়েছে । নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে স্বাক্ষাতকার,রেজুলেশন,নিয়োগ,যোগদান,অনুমোদন, এম,পি,ও ভুক্তির মাধ্যমে খলীলুর রহমান ২০ বছরে প্রায় কোটি টাকা জালিয়াতি করে উত্তোলন করে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি করার জন্য সুুুুুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে খলীলুর রহমানের এম,পি,ও বাতিল ও শাস্তির আওতায় আনার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।