পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “মেছো বিড়াল সংরক্ষণ শুধু প্রাণী অধিকার নয়, এটি পরিবেশ রক্ষার জন্যও জরুরি। প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণীর ভূমিকা আছে। তাই তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।”
তিনি বলেন, “শুধু মুরগি খাওয়ার অভিযোগে মেছো বিড়াল মারা অন্যায়। এটি হত্যা চলতে থাকলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়বে। তাই জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।”
আজ শনিবার বন অধিদপ্তরে বিশ্ব মেছো বিড়াল দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “জেলা প্রশাসকরা মেছো বিড়াল রক্ষায় সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে। তবে প্রকৃতপ্রেমীদের সম্পৃক্ত করাই বেশি কার্যকর হবে।” তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যম শুধু দুঃখপ্রকাশ নয়, মেছো বিড়ালের পরিবেশগত গুরুত্বও তুলে ধরতে হবে। জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ান।”
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “শুধু মেছো বিড়াল নয়, সব বিপন্ন প্রাণী রক্ষায় নিষ্ঠুরতা বন্ধ করতে হবে। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, “আইনের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। প্রকৃতির প্রতি দায়িত্ববোধ বাড়াতে হবে। কার্যকর বনায়ন পরিকল্পনা নিলে সংকট কাটানো সম্ভব।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী। আরও বক্তব্য রাখেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম. মনিরুল এইচ. খান, মোঃ ফজলে রাব্বী, প্রভাষক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পোস্টার ডিজাইন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মেছো বিড়াল সংরক্ষণে সচেতনতা তৈরির জন্য প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।