শেখ সাইফুল ইসলাম,, সাতক্ষীরাঃ
০৭ বছরের শিশু আলিফ ফরহাদ তার মামা আশরাফুল (২৩), সাং-চরবালিথা, থানা-দেবহাটা, জেলা- সাতক্ষীরা এর বাড়িতে থাকে। তার মা না থাকায় সে মামার বাড়িতে থাকে। ১৪/০৩/২০২২খ্রিঃ আনুঃ দুপুর ০১.০০ ঘটিকার সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তার মামী আসামী রানী বেগম(২২) (যাকে শিশুটি মা বলে ডাকে) শিশু আলিফ কে বসত ঘরের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই চোখ খুচিয়ে-খুচিয়ে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করে এবং তার চোখের আশে পাশে, মুখমন্ডলে, নাকে মুখে, ঠোটে রক্তাক্ত জখম করে। তাছাড়া আসামী রানী বেগম শিশুটিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুত্বর জখম করে। শিশু আলিফ মৃত্যুবরণ করেছে ভেবে রানী বেগম তাকে বাড়ির পাশে পুকুরের (পানি বিহিন পুকুর) মধ্যে ফেলে রেখে যায়। বেলা আনুঃ দেড়টার দিকে শিশু আলিফের ছোট মামা আশিক(১৪) বাড়িতে এসে তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে । খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে শিশু আলিফ কে বাড়ির পাশে পুকুরের মধ্য হতে মৃতপ্রায় অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়দের’সহায়তায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় এবং সেখানে তাকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। শিশুটি তখন উপস্থিত চিকিৎসক, সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজনদের সামনে তার মামী রানী বেগম তাকে এরুপ ভাবে নির্যাতন করেছে বলে জানায়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।