১২ জানুয়ারি ২০১৯: বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গম পাচারকালে ছবি তোলায় শামিম আহম্মেদ নামে এক সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার রাত ৯টায় এক বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে। বিবৃতিতে বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর গম পাচারের সাথে জড়িত চোরদেরকে চাকরীচ্যুত করার দাবি করা হয়েছে। কিভাবে একজন সাংবাদিককে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কারাগারের বাইরে সড়ক থেকে তাকে তুলে নিয়ে আটকে নির্যাতন করা হয়। যে ঘটনাটি চরম দূ:খ এবং সাংবাদিক সমাজের জন্য অপমানজনক। তাই বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সরকারের কাছে ওই সব চোরদেরকে চাকরীচ্যুত করে দৃষ্টান্ত স্থাপনের দাবি করা হয়।
শনিবার ১২ জানুয়ারি বেলা আড়াইটার দিকে এই ঘটনায় সাংবাদিক নেতাদের তোপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত ৫ কারারক্ষীকে প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক নিয‘াতনের এহেন শাস্তি মেনে নেবেনা সাংবাদিক সমাজ। দেখা যাবে কিছুদিন পর ওই চোরদেরকে পুনরায় চাকরীতে নিযুক্ত করা হবে। তাই কারাগার একটি নিরাপদ স্থান। সেখানে গম চোরদের স্থান দেয়া কোন মতেই ঠিক নয়। তাই অবিলেম্বে এই গম চোরদেরকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করা হোক।
বরখাস্তরা হলেন- কারারক্ষী উজ্জল, আবু বক্কর, সাঈদ, আবুল খায়ের ও খোকন।
নির্যাতনের শিকার দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বরিশাল অফিসের আলোকচিত্রী শামিম আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- কারাগার থেকে ভ্যান গাড়িযোগে সরকারি গম পাচার হওয়ার প্রাক্কালে কোতয়ালি পুলিশ আটকে দেয়। ওই সময় তিনি সড়কে দাড়িয়ে সেই চিত্র ধারন করছিলেন। তখন কারা কম্পাউন্ড থেকে ৮ থেকে ১০ কারারক্ষী এসে তাঁর ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে তাকে মারতে মারতে কারা কম্পাউন্টের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখানে তাঁকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে আরও পিটুনি দেয়।
খবর পেয়ে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়বাত বরিশাল প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনসহ সাংবাদিক নেতারা সেখানে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
এনিয়ে সেখানে ঘণ্টাখানের উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করে। সাংবাদিক নেতাদের জোরালে প্রতিবাদে তোপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত ৫ কারারক্ষীকে তাৎক্ষণিক ভাবে সাময়িক বরখাস্ত করে কারা কর্তৃপক্ষ।