লিটন সরকার উপজেলা প্রতিনিধি ঃ আশাশুনি উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশাশুনি সরকারি কলেজ এবছর শ্রেষ্ঠ (কলেজ পর্যায়ে) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে।
কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজের সুনাম সুখ্যাতি ছিল এলাকাবাসীর হৃদয়ে গাঁথা। শিক্ষানুরাগী মানুষের মনের চাওয়া পাওয়াকে পুরনের হাতছানির স্বাক্ষর হিসাবে “জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে-২০২২”-এ কলেজটি জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে এই প্রথমবার। বেসরকারি থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হওয়া প্রতিষ্ঠানটি হঠাৎ করে দুঃশাসনে মুখ থুবড়ে পড়লে অনেক অনেক পিছু হটে যায় প্রতিষ্ঠানটি। নানা প্রতিবন্ধকতা, নাকপাশের শেকলে আটকে ফেলতে থাকে দুষ্ট চক্র। অশুভ চক্রের দুর্বৃত্ততাকে হটাতে হঠাৎ করে দেবদূতের ন্যায় হাজির হলেন একজন দুর্দশিতা সম্পন্ন আপদ মস্তক শিক্ষাগুরু ও দক্ষ পরিচালক; কলেজের নবাগত প্রিন্সিপ্যাল। আনলেন কলেজের সার্বিক পর্যায়ে আমুল পরিবর্তন। সকল ক্ষেত্রে নতুন করে ও নতুন উদ্যমে নবযাত্রা শুরু হয়। এযেন যাদুর কাঠির স্পর্শে সবকিছুতে নতুনত্বতা ও সফলতার দ্বার উন্মোচিত হওয়ার মত। আর তাই মাত্র ৭ মাসের মধ্যেই লেখাপড়া, অবকাঠামোগত ও সার্বিক অঙ্গনে উন্নতির ফল্গুধারা প্রবাহিত হওয়ার সাথে সাথে একটি বড় সম্মান এসে দুয়ারে হাজির হলোÑ জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি। এহেন উন্নয়নের ছোয়া, পরিবর্তন ও সুন্দরে রূপান্তরিত করতে যিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের সঠিক নেতৃত্ব দান, সকলকে সাথে নিয়ে সম্মিলিত শক্তিতে পরিণত করেছেন এবং নিরলস পরিশ্রম করেছেন তিনি হলেন কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অন্য সদস্য ও কর্মকর্তাবৃন্দের সম্বন্বয়ে গঠিত কমিটি এ ফলাফল ঘোষনা করেন। অধ্যক্ষ মহোদয় এ সুসংবাদ শিক্ষক-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করার সময় আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, “এ কৃতিত্ব শুধু আমার একার নয়; এটি সমস্ত শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দেরও। যারা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন না করলে ও আমার নির্দেশনা মেনে না চললে আমার একার পক্ষে কলেজটিকে এই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না।” তিনি আরও বলেন, নেত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ যদি প্রতিষ্ঠানের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি না দেখাতেন তবে প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো কিছু উপহার দেয়া কখনওই সম্ভব হতো না। কলেজের অভিভাবক সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আফম রুহুল হক এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-কর্মচারী, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী, ছাত্র প্রতিনিধি, গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকবৃন্দ, স্থানীয় সুধীবৃন্দ ও সর্বোপরি জেলা প্রশাসনকে কলেজের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে।