বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় কোনো নির্মাণ অবকাঠামো এবং সমসাময়িক বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতু পদ্মা সেতু। পদ্মাসেতু চালু হবে আগামীকাল।এখন থেকে প্রমত্তা নদীর ওপর গাড়ি চলতে দেখা যাবে। পরের ইতিহাস সবার জানা। সব বাধা উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের দুঃসাহসিক চ্যালেঞ্জ নেয় স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। দেশবাসীর স্বপ্নের সেতুতে চড়ে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে। আজ বাদে কাল উদ্বোধন হচ্ছে দেশের ইতিহাসের অন্যতম মেগা প্রজেক্ট পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের এ সেতুর উদ্বোধন করবেন, যার মধ্য দিয়ে লাঘব হবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের আজন্ম কষ্ট। ঢাকার সঙ্গে পুরো দক্ষিণবঙ্গের সরাসরি এ যোগাযোগব্যবস্থা পুরো অঞ্চলের অর্থনীতিতে বিপ্লব সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। উদ্বোধন শেষে মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশ ও মাদারীপুর প্রান্তে জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন কেন্দ্র করে সারা দেশেই উৎসবমুখর পরিবেশ।পদ্মা সেতু বাংলাদেশিদের দ্বারা বাংলাদেশিদের জন্য একটি বড় অর্জন এবং “সকল বাংলাদেশির জন্য এটা গবের্র বিষয়।আমি ক্ষুদ্র কলাম লেখক কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি,পদ্মা সেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় সংকল্পের একটি বাস্তব প্রমাণ।ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ। এটি বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই ও স্থায়ী উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে,ইনশাআল্লাহ।
লেখকঃ কবির নেওয়াজ রাজ
এমএসএস”রাষ্ট্রবিজ্ঞান,
সিসি”জার্নালিজম,এলএলবি।