খুলনার কয়রা থেকে ফিরে শেখ খায়রুল ইসলাম:- খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া নামক স্থানে বৃহস্পতিবার (৩০)জুন ভোর ৪ টায় মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সহযোগিতায় সুন্দরবন থেকে নিষিদ্ধ বিষ দিয়ে আহরণকৃত ১৫০০ কেজি চিংড়ি মাছ সহ ৮ জন আটক করেছে কয়রা উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান,তার এলাকা দিয়ে বিক্রয় নিষিদ্ধ বিষ দিয়ে আহরণকৃত সুন্দরবনের চিংড়ি মাছ অধিকাংশই রাতে গাড়ী দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যায় এলাকার লোকজন তাকে জানাই তারই প্রেক্ষিতে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মান্দারবাড়ীয়া নামক স্থানে সারা রাত ধরে পাহারা দেয়। এবং ভোর ৪ টার দিকে ২টি নছিমন গাড়ীসহ ১৫০০ কেজি চিংড়ি মাছ সহ ৮ জনকে আটক করে, উপজেলা প্রশাসনকে খবর প্রশাসন এসে বিষ প্রয়োগ করা মাছ আগুনে পুড়িয়ে এবং মাটিতে পুতে বিনষ্ট করে।এ রিপোর্ট লেখা পর্ষন্ত আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রস্তুতি চলছিল।এ সময় উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম, কয়রা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, কয়রা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মােঃ আমিনুল হক সহ মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা বৃন্দ। কয়রা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মােঃ আমিনুল হক বলেন, জুন মাস থেকে ৩ মাস সুন্দরবনের সকল প্রকার মাছ আহরন নিষিদ্ধ ঘােষনা করা হয়েছ। নিষেধাক্ষা অমান্য করে যারা সুন্দরবন থেকে মাছ আহরন করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত রয়েছে।সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদ গুলোর মধ্যে মাছ অন্যতম। সুন্দরবনের বুকের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদী ও খালে প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। জেলে ও এক শ্রেনীর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ জাল ও কীটনাশক ব্যবহার করে মাছ শিকার করে।ফলে সকল প্রকার মাছের রেনু পোনার ব্যাপক ক্ষতিসাধন ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করে।