রনি ভুক্তভোগীদের প্রতিনিধি হিসেবে অরাজনৈতিক ভাবে একটি দল নিরপেক্ষ কর্মসূচির মাধ্যমে অধিকার আদায়ের দাবীতে মাঠে ছিলেন।
নূর, কোটা আন্দোলন কে ব্যবহার করে একটি রাজনৈতিক রঙ নেয়া চিহ্নিত সরকার বিরোধী। নুর যখন কোটা আন্দোলনের মাঠে ছিলেন তখনই আমি বলেছিলাম নুরের কথা বলার ধরন বা বাচন ভঙ্গি শিবির নেতাদের মত। তখন আমার কথার প্রতিবাদ করেছিলেন অনেক প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী! আমি অবাক হয়েছিলাম এই ভেবে যে আসলে কি উনারা বুঝেন না, না কি প্রগতিশীলতার মুখোসে আসলে উনারা নুরের মতই! এখন মাঝেমধ্যে আমার সেই সব প্রগতিশীলদের প্রতিক্রিয়া জানতে বড্ড ইচ্ছে হয়।
ডঃ জাফরুল্লাহও একটি নির্দিষ্ট ম্যাণ্ডেট নিয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। উনার গায়েও নির্দিষ্ট রাজনীতির রঙ লেগে আছে।
রনির নিষ্পাপ আন্দোলনটিকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক রঙ না চড়ালে কি নূর ও জাফরুল্লাহ সাহেবদের পেটের ভাত হজম হচ্ছিল না!
এভাবে কোনো নিষ্পাপ ও সার্বজনীন আন্দোলন কে কলুষিত করবেন না প্লিজ! আপনারা আপনাদের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনাদের মত থাকুন, রনিদেরকে তাদের মত থাকতে দিন।
নুর কি রনিকে তার মত ভেবেছিলেন? সার্বজনীন দাবীর খোলসে একটি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে কাজ করা পাপী! নুরের ভুলটা এখানেই। রনিরা কখনো নুর হয়না, রনিরা সাধারণ জনগণ থেকে উঠে আসা ক্ষুদিরাম, তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকেনা, তারা কারো মদদে, কারো ফায়দা হাসিলের জন্য কাজ করে না, রনিদের কোন মুখোস থাকেনা।
রনির কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল না, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। ডাঃ জাফরুল্লাহ ও নুরু রনিকে তাদের মত ভেবে ভুল করেছেন, বড্ড ক্ষতি করে দিয়েছেন রনির৷ নিষ্পাপ আন্দোলনের মুখে কলুষতার কালিঝুলি মাখিয়ে দিয়ে আগামীর আর কোনো রনির জন্ম নেয়ার আতুর ঘরে তালা লাগিয়ে দিলেন তারা।
পাপীরা সবসময়ই অন্যকে পাপী ভাবে, পাপের এই এক দোষ সে বাপকেও ছাড়েনা!
লেখকঃ বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোঃ নূর-উস-সাদিক চৌধুরী।