শেখর মজুমদার,প্রতিনিধি নেছারাবাদ(পিরোজপুর):
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় পানির ড্রামের ভিতর থেকে ১ মাস ৩ দিন বয়সি একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসা বাদের জন্য ওই নব জাতকের পিতা মাতা এবং চাচা চাচি এবং পাশের বাসার জুথীকে থানায় নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার সকালে উপজেলার সমেদয়কাঠি ইউনিয়নের শশিদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । বাচ্চাটির চাচা সুমন্ত দেবনাথের নিজ ঘরের পানির ড্রামের ভিতর থেকে লাশ উদ্ধার করে।
নবজাক শিশুটির ঠাকুর মা(দাদী) মালতি রানি বলেন, সকালে নাতিকে তার মা দুধ খাইয়ে থালা বাসন ধোয়ার জন্য ঘাটে যায়। নাতি ঘুমিয়ে পড়ায় আমি নাতিকে রেখে স্নানে যাই(গোসলে)। তখন ঘরে আমার মেজ পুত্র বধূ লিপি তার খাটের উপর বসে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছিল। আর কেহ ঘরে ছিলনা। হটাৎ ঘরে এসে নবজাতকের মা নমিতা বাচ্চাকে না পেয়ে খোজাখুজি করে। এ খবর শুনে মাঠে কাজ করতে যাওয়া শিশুটির বাবা সুকান্ত কাজ ছেড়ে বাসায় আসে এবং লিপির স্বামি সুমন্ত সহ বাসার সবাই মিলে বাচ্চার খোজ চালায়। অনেক খোজা খুজির এক পর্যায়ে খাবার ঘরের পানির ড্রামের মধ্য থেকে শিশুর চাচা সুমন্ত লাশটি প্রথমে খুজে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে আমার ছেলে সুমন্ত, তার বউ লিপি এবং ওরৃ বাবা সুকান্ত ও তার মা নমিতাকে থানায় নিয়ে গেছে।
ইউপি সদস্য মৃদুল মজুমদার, স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, নবজাতকের বাবার নাম সুকান্ত দেবনাথ এবং মায়ের নাম নমিতা দাস। তারা কৃষি কাজ করেন। সকাল দশটার দিকে নমিতা শিশুটিকে ঘরের বারান্দায় ঘাটে শুইয়ে থালা বাসন ধোয়ার জন্য ঘাটে যায়। কিছুক্ষণ পরে নমিতা ঘরে এসে বাচ্চা না পেয়ে অনেক খোজাখুজি করে। ঘন্টা খানেক খোজাখুজির পর তাদের খাবার ঘরের ত্রিশ লিটার ওজনের একটি পানির ড্রামের মধ্য শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
ইউপি চেয়ারম্যান হুমাউন বেপারী বলেন, বাচ্চাটি খোজাখুজি করে না পেলে কিছুক্ষণ পর নিজেদের ঘরের পানির ড্রামে তার লাশ পাওয়া যায়। আমি খবর শুনে থানায় জানিয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি।
নেছারাবাদ কাউখালি সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো: রিয়াজ হোসেন (পিপিএম) জানান, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে পোষ্টমার্টেমের জন্য পিরোজপুর পাঠানোর ব্যবস্থা চলছে। বিষয়টি জানার জন্য সঙ্গে ওই নবজাতকের পিতা মাতা সহ চাচা চাচিকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনত ব্যবস্থা হবে।