এই কারখানা দুটির মালিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মহিমাগঞ্জ এলাকার ১।মোঃ শাকিল ২। মোঃ সুজন।
এই কারখানার দুষিত ধোঁয়ায় এলাকাবাসীর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে,কবুতরমারী গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১ ব্যাক্তি জানান প্রতিদিন রাত ০৯:০০ হইতে ভোর ০৪:০০ ঘটিকা পর্যন্ত এরা ব্যাটারীর প্লেট আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরী করে।
৭ নং টালকি ইউনিয়নের বড়পাগলা গ্রামের নাম হায়দার আলী নামের এক লোক জানান ইটভাটার ভিতরের এই ব্যাটারী কারখানায় প্রতিদিন রাত.০৯.৩০ হইতে ভোর ০৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত যখন পুরাতন ব্যাটারীর প্লেট আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরী করে তখন এই কারখানা দুষিত ধোঁয়া ও বিশ্রি গন্ধে আশেপাশের গ্রামের লোকজনের নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।
অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে ও কিছুদিন আগে বড়বিলের অনেক মাছ মারা গিয়েছিল,ব্যাটারীর এসিড পানি সব বিলে চলে যাচ্ছে।
স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এই কারখানা চলায় আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারিনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কারখানার আশেপাশের গ্রামের অনেক লোক জানান রাতে যখন ব্যাটারীর প্লেট আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরীর কাজ করা হয়, তখন কারখানার আশেপাশের দুই তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গন্ধ ছড়ায়।
এই এসিডের ধোঁয়া আশেপাশের গ্রামে বাড়ির ভিতরে ঢোকে ও বসবাসকারী লোকজনের চোখ মুখ প্রচুর জ্বালা করে নিশ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয়।
বিশেষ করে বৃদ্ধ ও ছোট শিশুরা এই কারখানার ধোঁয়ার কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
কারখানাগুলো রাস্তা সংলগ্ন হওয়ার দিনের বেলায়ও এই কারখানার এসিডের গন্ধে কোমলমতি শিশুদের ও এলাকাবাসীর রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্টস্বার্ধ হয়ে পড়েছে।
এই কারখানা দুটির দুষিত ধোঁয়া ও এসিড পানির জন্য নষ্ট হচ্ছে আশেপাশের মাঠের ধান পাট রবিশস্য।
তারা আরও জানান এই কারখানার আশপাশের জমির ঘাস কেটে এলাকাবাসী গবাদিপশুকেও খাওয়াতে পারছেনা পশুর মৃত্যুর ভয়ে।
এদের কারখানাদুটি স্থানীয় ২ নেতার ছত্রছায়ায় চলার কারনে বিভিন্ন মামলা হামলার ভয়ে কেউ মুখ খুলে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেনা।
কারখানার শ্রমিকদের গণমাধ্যম কর্মীরা জিগ্যেস করলে আপনারা এই কারখানায় কাজ করেন কিভাবে এরতো প্রচুর গন্ধ,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আপনাদের কিছু বলেনা?
সেই শ্রমিক বলেন থানা পুলিশ তেমন কিছু বলেনা কিন্তু উপজেলা প্রশাসন বা এ্যাসিল্যান্ড, পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনকে কেউ জানালে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান চুলা জ্বালিয়ে সিসা তৈরীর কাজ করার সময় আমাদেরও এই ধোঁয়ার কারণে অনেক কষ্ট হয় চোখ মুখ জ্বালা করে তবুও কাজ করি, কি আর করার।
তাই এলাকাবাসী এই কারখানা দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিতে শেরপুর জেলা প্রশাসন ও নকলা উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।