১৯৯৩ সালের শেষের দিকে তিনি এসেছিলেন ময়মনসিংহ শহরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে “সুজন সখী” সিনেমার শ্যুটিং করতে।গানটি হচ্ছে “”সব সখীরে পার করিতে নেবো আনা আনা__ সালমান শাহ ও শাবনূর ।
একটা পিচ্ছি ছেলে নৌকাটাকে পিছন দিক থেকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে আর সালমান শাহ কেবল বৈটা টাকে নাড়াচ্ছে,,শাবনূর নদের পাড়ে।
এই ঘটনাটা আমার স্যারের মুখে শুনেছিলাম। তিনি এখনোও শাবনুরের জন্য পাগল। তখন স্যার ইন্টারমিডিয়েট ফার্ষ্ট ইয়ার পড়েন আনন্দ মোহন কলেজে।
এই গানের শুটিং শেষ করে যখন বসলেন তখন সেখানে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। সেই ভির ঠেলে অনেক কষ্টেও যেতে পারছেনা। তখন শাবনূর স্যারের আগ্রহটা দেখলেন ,পরে সবাইকে বললো সরে যাওয়ার জন্য তখন ঐ শাবনুরের একটি কথার কারণেই শাবনূর কে দেখতে পেরেছিল। সালমান শাহ্ স্যার কে বললো তুমি কি করো ? স্যার বললো আমি পড়াশুনা করি। স্যার বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল এটা জেনে তখন সালমান বললো দোয়া করি ইঞ্জিনিয়ার হও। তখন শাবনূর মুচকি হেসে বললো না তুমি বিএসসি টিচার হও। কারণ তোমাকে টিচার হিসাবেই বেশ মানাবে। শাবনূর বললো আমি এটা বলেছি তুমি মন খারাপ করোনা। কারণ শিক্ষক হচ্ছে জাতি গড়ার কারিগর,, শিক্ষকতা হচ্ছে সম্মানজনক পেশা। স্যারের সাথে শাবনূর ছবিও তুলেছে।
স্যার হতে চেয়েছিলেন ডাক্তার পরে উনার সিদ্ধান্ত বদলে তিনি বিএসসি টিচার হয়েছেন । কেননা তিনি শাবনূর কে খুব পছন্দ করতেন। উনি আমাকে বলেছিলেন তামিল তেলেগু, হিন্দি সিনেমা বাদ দিয়ে শাবনূরের সিনেমা দেখো ।অনেক সুন্দর অভিনয় করে। হয়তো তুমি তার প্রেমে পড়ে যাবে।
বর্তমানে ঐ স্যার বিভাগীয় মাস্টার ট্রেইনার।।
স্যার সবসময় কোনো স্টুডেন্ট সৌন্দর্যের দিক থেকে বিতার্কিক হলে ,শাবনূরকে আনতেন,বলতেন শাবনূর একজন অভিনেত্রী সুন্দরী হয়ে তার মধ্যে কোনো অহঙ্কার পেলাম না। আর তোমরা তো শাবনুরের মত এত স্মার্ট, সুন্দরীও না।তো তোমাদের এত অহংকার কেনো?