শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
গণপূর্তমন্ত্রীর সাথে ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে সরকার বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন করবে। – পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে -তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী নতুন প্রজন্মের মাঝে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানান মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। কালিগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করলেন আতাউল হক দোলন এমপি Jolpore.com অনলাইন বুক রিভিউ প্রতিযোগিতা পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই  এথেন্স সম্মেলন : দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ৪ দিনের ন্যাপ এক্সপো, উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। -পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী নলতাকে মাদক ও বখাটেমুক্ত করতে চেয়ারম্যান আজিজুর এর ব্যাতিক্রম উদ্যোগ

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের ঋণ জাতি শোধ করবে কীভাবে?

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬.৩৩ পিএম
  • ৬৪ বার পঠিত

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের ঋণ জাতি শোধ করবে কীভাবে?

ড. আব্দুল ওয়াদুদ

আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাঙালি জাতির বেদনাবিধুর শোকের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান দখলদার বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস্ ও শান্তি কমিটির সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের একটি বড় অংশকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। ৯ মাসের রক্তগঙ্গা পেরিয়ে জাতি যখন উদয়ের পথে দাঁড়িয়ে, পূর্ব দিগন্তে টগবগিয়ে বিজয়ের লাল সূর্য যখন উদিত হচ্ছে, দেশ যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনই এ বাংলার কৃতি সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। রণক্ষেত্রে নাস্তানুবুদ হয়ে শেষমেশ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তারা সম্ভাবনাময় জাতিকে মেধাশূন্য করার অভিপ্রায়ে সুদূরপ্রসারী ঘৃণ্য নীল—নকশা বাস্তবায়নে নেমেছিল নরপশু ঘাতকেরা। বুদ্ধিজীবী হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়, যা ছিল অপ্রত্যাশিত।
বুদ্ধিজীবীদের ওপর নির্যাতন ছিল পাশবিক যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। শুধু বুলেটের আঘাতেই নয়, বিষাক্ত বেয়নেটের আঘাতে ক্ষত—বিক্ষত করে হত্যা করা হয়েছিল সোনার বাংলার অহংকার মেধাবী সন্তানদের যাঁরা মহান মুক্তিযুদ্ধ, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন।

একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নকে সৃষ্টিশীল মেধার মিশ্রণে লেখনীর মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীরা যাতে বাস্তবায়ন না করতে পারেন এ দুরভিসন্ধিতে তাঁদের হত্যা করা হয়েছিল।

পাকিস্তান সরকারের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর ঘৃণ্যতম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ দেশীয় দোসরদের ভূমিকা ছিল মুখ্য। জেনারেল রাও ফরমান আলীর মূল পরিকল্পনা ছিল সকল বুদ্ধিজীবীদের একত্রে আমন্ত্রণ করে একস্থানে একই সময়ে হত্যা করা। কিন্তু অজ্ঞাতকারণে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভবপর হয়নি। তাই স্বাধীনতা যুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয়ের অশুভ সন্ধিক্ষণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তার সহচর বিশেষ করে আলবদর, আল শামস্ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের যাঁকে যখন যেখানে পেয়েছে সেখান থেকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে বর্বরোচিত কায়দায় হত্যা করেছে।

পাকিস্তান নামক অগণতান্ত্রিক এবং অবৈজ্ঞানিক রাষ্ট্র গঠনের পর থেকেই বাংলা— ভাষাভাষীদের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানের রাষ্ট্রযন্ত্র বৈষম্যমূলক আচরণ করতে থাকে। তারা ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানে। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ “রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে” এই ঘোষণায় অনড় থাকেন। এরই ফলশ্রুতিতে বাঙালির মনে তীব্র ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে থাকে এবং বাঙালিরা এই অবিচারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ’৫২ এর— ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। সংগত কারণে এসকল আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকতেন সমাজের সর্বস্তরের বুদ্ধিজীবীগণ। তাঁরা সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বাঙালিদের বাঙালি জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাঁদের একনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ফলেই জনগণ নিজেদের দাবি ও অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠলে পরবর্তীতে তাঁদের রাজনৈতিক আন্দোলনের দিকে ধাবিত করে। এ জন্য শুরু থেকেই বুদ্ধিজীবীগণ পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন। তাই যুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় বাছাই করে করে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে থাকে এবং শেষপর্যন্ত এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখে। এ ছাড়া যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানের পরাজয় যখন শুধুই সময়ের ব্যাপার ঠিক তখনই বাঙালি জাতি যেন শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং সামাজিকভাবে দুর্বল হয়ে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, তারই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হানাদার বাহিনী এবং তার দোসররা নিতে ভুল করেনি। তাই তারা বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করে দেওয়ার লক্ষ্যে তালিকা তৈরি করে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর এখন পর্যন্ত ৪২টি মামলায় ১০৩ জনের বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। বিচারাধীন আছে ৩৮টি মামলা, যার আসামি সংখ্যা ২৩২ জন। এ ছাড়া আপিলে নিষ্পত্তি হয়েছে ১০টি মামলা। যার মধ্যে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কার্যকর করা হয় জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর। ফাঁসি কার্যকর হয়েছে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লা, মুহম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়ে রায় দেয়। এ রায়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ। আন্দোলনের মুখে আইন সংশোধন করে সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে বুদ্ধিজীবী হত্যায় যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল তাদের বিচার আজও বাংলার মাটিতে হয়নি। তবে বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার এখন সময়ের দাবি।

টার্গেট করে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা এবং একত্রে এত বুদ্ধিজীবীদের হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এটি জাতিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পঙ্গু করে দেওয়ার এক নির্মম নীল—নকশা। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং এর দোসররা শুধু জেনেভা কনভেনশনের নীতিমালাই লঙ্ঘন করেনি, নিরীহ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বিশ্বের বুকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি জঘন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছে যার বিচার অদ্যাবধি হয়নি। যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার বিচার পৃথিবীর সকল দেশে বিদ্যমান থাকলেও অদৃশ্য কারণে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে পাক—হানাদার বাহিনী এবং তার সাহায্যকারীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। কিন্ত পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার ঐকান্তিক ইচ্ছা এবং অটল সিদ্ধান্তের কারণে এ দেশের মাটিতে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার সীমিত আকারে হলেও হয়েছে, যা সমগ্র বিশ্বের বুকে প্রশংসার দাবি রাখে। তবে বুদ্ধিজীবী হত্যায় যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল তাদের বিচার আজও বাংলার মাটিতে হয়নি। আর সেই বিচার কখন শুরু হবে, তা কেউ জানে না। শহিদ বুদ্ধিজীবী হত্যার ষড়যন্ত্রকারী এবং তার দোসরদের মরণোত্তর বিচারের দাবি থেকে সরে আসার কোনো কারণ নেই।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ৩১ জানুয়ারি ১৯৭২ অবধি যেসব বাঙালি সাহিত্যিক, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, কর্মকর্তা, রাজনীতিক, সমাজসেবী, সংস্কৃতিসেবী, চলচ্চিত্র, নাটক ও সংগীতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং এর ফলে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী কিংবা তাদের সহযোগীদের হাতে নিহত কিংবা ওই সময়ে চিরতরে নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা শহিদ বুদ্ধিজীবী। যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, এ বিষয়ে কমিশন গঠন করে প্রকৃত নিখোঁজের রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি রাখে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি অনুসন্ধানে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর থেকে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে “ওয়্যার ক্রাইমস্ ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি”। সারা দেশে প্রায় ৯৪২টি বধ্যভূমি শনাক্ত করতে পেরেছে তারা। স্বাধীনতাযুদ্ধকালীন প্রকাশিত পত্রিকা, এ বিষয়ক বিভিন্ন প্রবন্ধ—নিবন্ধ, গ্রন্থ এবং মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার এবং স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতায় এসব বধ্যভূমি খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে। অধিকাংশ জেলাতেই মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমিগুলো হয় রেলের, নয়তো সড়ক ও জনপথের আওতাভুক্ত স্থানসমূহে। এসব জায়গায় দর্শনার্থীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে বুদ্ধিজীবী হত্যার ইতিহাস সমুন্নত রাখার পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া দেশি—বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাক্ষী তুলে ধরার জন্য এসব জায়গায় পর্যটন শিল্পের নেটওয়ার্ক বাড়ানো দরকার যাতে বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস দেশ ও দেশের বাইরে সমানভাবে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গতিধারা সমুন্নত রাখার প্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার গতিশীলতা পায়।তাছাড়া শহিদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের অনুরূপ রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাতা প্রদান করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।

রক্তক্ষয়ী ১৯৭১ এর বছরব্যাপী পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও এ দেশের কিছুসংখ্যক কুলাঙ্গার রাজাকার বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। তবে পরিকল্পিতভাবে ১৪ ডিসেম্বরে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ এই দিনকে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ ঘোষণা করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বেতন ভাতার সাথে সংগতি রেখে এসব শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাতা প্রদান এবং স্বীকৃতির একটি প্রচলিত ধারা তৈরি করতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকারের বাস্তবায়ন শুধু বক্তৃতা এবং বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে। বাংলাপিডিয়া হতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা: শিক্ষাবিদ ৯৯১ জন, সাংবাদিক ১৩ জন, চিকিৎসক ৪৯ জন, আইনজীবী ৪২ জন ও অন্যান্য (সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী এবং প্রকৌশলী) মোট ১৬ জন।

মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনা বাস্তবায়নে যাঁরা জাতির মুক্তির সোপান হিসেবে আজও ভাস্বর হয়ে আছেন এবং নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তার ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে নেওয়া আজও বাঙ্গালি জাতির পক্ষে সম্ভব হয়নি। কেননা একটি দক্ষ, সৎ এবং নির্ভীক বুদ্ধিদীপ্ত জাতি তৈরি করতে একটি প্রজন্মের যুগ—যুগ সময় লেগে যায়। তাই এ দেশের মাটিতে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের অপূরণীয় ক্ষতি পূরণ করা আদৌ সম্ভব কি না, সেটি আমাদের ভেবে দেখতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নের মাধ্যমে এই শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশের উন্নয়নের রাজনীতিতে যে যুগান্তকারী সফলতা এসেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় মনোবল এবং নেতৃত্বের কারণে তা আগামী দিনগুলোতে অব্যাহত থাকুক— এটাই প্রত্যাশা। আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে পর্বতের ন্যায় দাঁড়িয়ে ২০৪১ সালের উন্নত দেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দেশপ্রেমিক জনগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী বুদ্ধিজীবীদের নীতি ও আদর্শের চর্চা নিশ্চিত করতে পারলে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবো।
লেখক: ড. আব্দুল ওয়াদুদ, ফিকামলি তত্ত্বের জনক, শিক্ষাবিদ, গবেষক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, প্রেসিডিয়াম সদস্য বঙ্গবন্ধু পরিষদ, প্রধান পৃষ্ঠপোষক — বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতি, সভাপতি— শহিদ সেলিম—দেলোয়ার স্মৃতি পরিষদ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
  12345
20212223242526
27282930   
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com