আমার অনেক দিনের সাধ লটারি জেতা। কত সাধনা কত চেষ্টা কিন্তু কোন দিন পাই নি। গত ডিসেম্বরে বিজয় মেলায়
অফিসার্স ক্লাবে পুরো বই কিনেছিলাম তাও ধারে কাছে নেই।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিসিএস অফিসার্স ফোরামের
নৌবিহারের লটারি সবার জন্য ছিল একটা করে, সবার সমান সম্ভাবনা! পাশে বন্ধু রানাকে বলেছিলাম লটারি পেলে তার হাতে তুলে দেব, লটারি পাওয়ার পর পুরস্কারের সিদ্ধান্ত তার। আরেক বন্ধু রাসেলের দোয়া নিয়েছিলাম। ফলাফল আমার নাম্বার 5502, পাশাপাশি অন্য নম্বর 5504 অবশ্য জিতেছিল। সেদিন মনে হচ্ছিল লটারি ভাগ্য প্রসন্ন হতে চলেছে। তা আজ সত্যি হলো। যদিও লটারির টিকেট রাজপুত্র নিহালের হাতে ছিল, নম্বর 129, আহা কি আনন্দ!
তাহলে কি এ লটারি কি আংশিক জয়! টিকিট টা অবশ্য পুরস্কার প্রদানের সময় ডেস্ট্রয় করে দিয়েছে। কি দরকার ছিল ডেস্ট্রয় করার! অবশ্য আমার হাতে টিকিট থাকবে, তখন আর আংশিক নয় পুরো লটারি জেতা হবে মর্মে গন্য!
আমার সাধ মিটেছে, আশা পুরিছে ;
লটারিতে আজ পুরস্কার হয়েছে !
লটারিতে পুরস্কার একহাজার টাকা কিন্তু আমার কাছে তার মূল্য একলক্ষ টাকা। পুরস্কারের খামটি স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়া হবে। বছরের পর বছর কোন এক বছর Net Present Value ( NPV) হিসেবে এ এক হাজার টাকার মূল্য এক লক্ষ টাকা হয়েও যেতে পারে।
অফিসার্স ক্লাব ঢাকার সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন স্যারের কাছ থেকে লটারির পুরস্কার নিতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। যদিও নিহালের উচ্ছ্বাস অনেক বেশি। লটারি কখন যে কার লেগে যায় !
আমার ফেসবুকে কারা কারা লটারি জিতেছেন আর কারা কারা অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছেন জানতে পারলে অনেক ভালো লাগতো লাগতো!
লটারি জেতার প্রতিক্রিয়া –
আমাকে হাসতে দেখো, গাইতে দেখো-
দেখো না আমায় কত না কত খুশি হতে !
লেখকঃ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আলমগীর হোসেন।