গোপালপুর পৌরসভা
রিপোর্টার জাহিদ খান
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ আজ সোমবার গোপালপুর উপজেলার আলমনগরে কম্বল বিতরণের নামে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ কর্মীদের দ্বারা হামলার শিকার হয়েছেন। হামলাকারিরা মেয়রের সফরসঙ্গীদের দুটি প্রাইভেট কার এবং ১০/১২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। হামলায় ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দশ নেতাকর্মী এবং তিন সংবাদকর্মী আহত হন।
জানা যায়, ভূঞাপুরের মেয়র এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ সামনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে এমপি পদে নির্বাচন করতে চান। এ নিয়ে তিনি বেশ কয়েকমাস ধরে বর্তমান এমপি ছোট মনিরের বিরুদ্ধে মাঠ গরম করছেন। আজ সোমবার তিনি চার শতাধিক দলীয় নেতাকর্মীর বহর নিয়ে গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের বোর্ড বাজারে এক সমাবেশ ও কম্বল বিতরণ করতে আসেন। এ খবর শুনে গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আওয়ামীলীগ নেতা রাসেল মিয়া জানান, ভূঞাপুরের লীগ নেতা ও মেয়র মাসুদ গোপালপুর উপজেলায় এসে জনসমাবেশ করবেন অথচ এখানকার কেউ জানবেন না তাতো হয়না। তাই গোপালপুরের লীগ নেতা ও কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভূঞাপুরের লীগ নেতাকর্মীদের বিতাড়িত করেছেন। ওরা মার খেয়ে পালিয়ে গেছে।
গোপালপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হামলায় ১০/১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। মেয়র মাসুদ ও তার দলবলকে নিরাপদে ভূঞাপুর উপজেলার সীমান্তে পৌঁছে দেয়া হয়।
মেয়র মাসুদ অভিযোগ করেন, তিনি গোপালপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে সরকারের উন্নয়ন নিয়ে লিফলেট এবং বিত্তহীনদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করার কর্মসূচি নেন। গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়ন বোর্ড বাজারে পৌঁছলে গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজের নেতৃত্বে এ হামলা চালানাে হয়। তিনি এ হামলার নিন্দা জানান। অপরদিকে সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর- গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির বলেন, বিষয়টি খুবই দু:খজনক। গোপালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগকে না জানিয়ে ভূঞাপুরের মেয়র ইউপি নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের নিয়ে কম্বল বিতরণ করা ঠিক হয়নি।