মোতালেব বিশ্বাস, ইবি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে বিবস্ত্র করে রাতভর ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সাথে পৃথক দুইটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট রুমে ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুনকে এ তদন্তের কমিটির নির্দেশে মুখোমুখি করা হয়।
প্রথম তদন্ত কমিটি বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে হল প্রশাসনের তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলার জন্য প্রভোস্ট রুমে উপস্থিত করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটিও ভুক্তভোগী সেই ছাত্রীর সাথে একই রুমে কথা বলে। দুইটি তদন্ত কমিটি পৃথকভাবে প্রায় দীর্ঘসময় কথা বলেন।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পর থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের যে তদন্ত কমিটি সেখানে আমার ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত বর্ণনা লিখিত আকারে নিয়েছে। হলে আমার সাথে যেখানে যা হয়েছে তা তাঁরা ঘুরে ঘুরে দেখেছে। আমি প্রত্যাশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্তদের বিচার করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানান, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি তদন্ত কমিটির সাথে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কথা হয়েছে। তদন্ত কমিটি তাঁদের কাজ করেছে। আমি তার অভিভাবকদের সাথে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আমি তাঁর পরিবারকে আশ্বস্ত করেছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, আমরা তদন্ত করেছি। একদিনে আমরা প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করেছি। তদন্ত স্বার্থে বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি চিঠি প্রেরণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে কারো বিরুদ্ধে যে কোন উন্মুক্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করেছি। আমরা আশা করি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, এখানে সরেজমিনে ফুলপরীর বক্তব্য নিয়েছি। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত সানজিদা চৌধুরি অন্তরা ও অন্যদের বক্তব্য সংগ্রহ করবো। এছাড়া যথাসময়ে তদন্ত শেষ করে অপরাধীদের শাস্তির আওতাধীন করা হবে বলে জানান তিনি।