স্টাফ রিপোর্টারঃ কালিগঞ্জে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকার অনিয়ম, দুর্ণীতির প্রতিবাদে অভিভাবক ও সচেতন এলাকাবাসি মানববন্ধন করেছে। বুধবার (৮ মে) বেলা ২ টায় উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজার চত্তরে ইউপি সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে দারুল উলুম চৌমুহনী ফাজিল মাদ্রাসার অভিভাবকসহ প্রায় তিন শতাধীক ব্যাক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন চৌমুহনী ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম সরদার, ইউপি সদস্য আবু হানিফ, ব্যবসায়ী আনোয়ারুল ইসলাম, অভিভাবক রুহুল আমিন গাজী, শেখ সাদুকুর রহমান, শাহিনুর ররহমান গাজী প্রমুখ। বক্তাগন বলেন মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জয়পত্রকাটি গ্রামের মৃত শহর আলীর পুত্র, মামলাবাজ ও দুর্ণীতিবাজ নুরুল হক সরদার, কথিত দাতা সদস্য, মামলাবাজ ও জামায়াত শিবিরের আশ্রয়দাতা মুকুন্দমধু সুধনপুর গ্রামের মৃত আকরাম আলী সরদারের পুত্র এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী আবু তালেব সরদার, সদস্য একই গ্রামের মোহর আলী মাষ্টারের পুত্র সিদ্দিকুর রহমান গাজীসহ কতিপয় সদস্যের যোগসাজসে মাদ্রাসার বড়বড় মেহগনি গাছ ও শিশুফুল গাছ কেঁটে বিক্রি করে ২১ লক্ষ টাকা গ্রহন, ২০১৩ সালের সহিংসতা মামলার আসামী মাদ্রাসার ১৪ জন শিক্ষককের বেতন ছাড় করিয়ে দেওয়ার নামে ২৮ লক্ষ টাকা গ্রহন ও মাদ্রাসায় বিভিন্ন প্রকল্পের নামে নামকাওয়াস্তে প্রকল্প দেখিয়ে প্রয় ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে ভাগবাটোয়ারা করেছে। এলাকার নিরীহ ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় জড়িয়ে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে আত্মসাত করেছে। চৌমুহনী মাদ্রাসাটি তারা যেনো চাঁদাবাজির হাটখোলা বানিয়ে ফেলেছিল। মানববন্ধন অনুষ্ঠানের সভাপতি ইউপি সদস্য, প্রতিবাদী সমাজ সেবক শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন নুরুল হক ও আবু তালেব বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সকল বিশৃংখলার সৃষ্টিকারীদের নাঠের গুরু। তারা মানুষকে বিপদে ফেলে আখের গুছিয়ে বানিজ্য করে চলেছে। প্রতিনিয়ত তাদের কাজ হচ্ছে এলাকার সহজ সরল মানুষদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করা। তাদের সন্তানাদীর লেখাপড়া ও সংসার চলে এমনিভাবে চাঁদাবাজীর টাকায়। আমি তাদের শাস্তি চাই এবং দ্রুত বিতর্কিত ঐ কমিটি বিলুপ্ত কনে শিক্ষা বান্ধব ও অধিকতর সৎ ব্যাক্তিদের দিয়ে কমিটি গঠনের দাবী জানাচ্ছি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল মাওঃ আব্দুল কাদের হেলালী বলেন আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে আজ নিঃশ্ব হয়ে গেছি। মাদ্রাসাটি পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। তাছাড়া আমি চাঁদার টাকা দিতে দিতে শেষ হয়ে গেছি। আমি তদন্ত পুর্বক দোষীদের শাস্তি দাবী করছি।এছাড়া অভিভাবক রুহুল আমিন গাজী বলেন, আমরা মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি থেকে চরম বিতর্কিত ও অর্থ আত্মসাৎকারীদের বহিস্কার ও শাস্তির দাবী করছি। মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন টেলিভিশন সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।