মোঃ সাইফুল ইসলাম ,রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সদর ইউনিয়নে উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে বাল্যবিয়ে। সামাজিক সংগঠন ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানা কৌশলে হচ্ছে এসব বাল্য বিবাহ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজারহাট উপজেলায় বর ও কনের পরিবারের সম্মতিতে বিভিন্ন গোপনস্থানে, গভীর রাতে কাজ্জীর বাড়িতে এবং বর ও কনের বাড়ির বাইরে প্রতিনিয়ত বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজারহাট সদর ইউনিয়নের মেকুরটারী (দালালী পাড়া) গ্রামের মহিলা ইউপি সদস্য মোছাঃ রোকেয়া বেগমের ছেলে রিয়ান এর সঙ্গে হাড়িডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহমানের কন্যা রাজারহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা (১৫) এর বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজিয়া সুলতানা ২১-১২-২০০৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন তার বর্তমান বয়স ১৫ বছর ৯ মাস১৫ দিন মহিলা ইউপি সদস্য রোকেয়া বেগম বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ না করে তিনি নিজেই নিজ বাড়িতে বাল্য বিয়ে দিচ্ছেন। এ নিয়ে সচেতন মহলে বেশ উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৬ সালে প্রশাসন বিভিন্ন এনজি ও সামাজিক সংস্থাগুলোর রাজারহাট উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসনের নাকের ডোগায় বসে প্রতিনিয়ত বাল্য বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে। বর্তমানে এসব বাল্য বিবাহ হলেও প্রশাসনের নেই কোন পদক্ষেপ।
বাল্যবিবাহের বিষয়ে রাজারহাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হক বলেন, আমি এবং চাকিপশার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও রাজারহাট থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আব্দুল্লা -হিল জ্জামানসহ রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী রায়ের কার্যালয়ে বাল্যবিয়ের বিষয়ে পরামর্শ করা হয়। কিন্তু ইউএনও মহোদয়কে এসব বাল্যবিয়ের বিষয়ে অবহিত করলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেন না। আর বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় রাজারহাট সদর ইউনিয়নে দিন দিন বাল্যবিবাহ বেড়েই চলছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী রাজারহাট সদর ইউনিয়নে চলতি মাসে ৫টি বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এসব বাল্যবিয়ের তথ্য ১০৯ নম্বরে ফোন করে দেয়ার পরেও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে প্রশাসনকে কোন ভুমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন সচেতনমহল।
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী রায়ের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে তাকে পাওয়া যায়নি।#