শেরপুর, প্রতিনিধিঃ শফিকুল ইসলাম।।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রানির তীর্থোৎসব শুরু হয়েছে। উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টান ধর্মপল্লিতে আজ বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ উৎসব শেষ হবে আগামীকাল শুক্রবার। এ উপলক্ষে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বইছে।
আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বারোমারী সাধু লিওর এ ধর্মপল্লি ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে ও অনুকরণে পাহাড় ঘেরা মনোরম পরিবেশে তৈরি বার্ষিক তীর্থস্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এবার প্রায় ৪০ থেকে ৬০ হাজার খ্রিষ্ট ভক্ত অংশগ্রহণ করেছে। এবারের তীর্থ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে রয়েছেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুড়া ক্যাথলিক ডাইসিসের একটি ধর্মপল্লির পাল পুরোহিত রেভারেন্ট ফাদার টমাস মানকিন।
সিনোডাল মণ্ডলীতে মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ কর্মে ফাতেমা রানি মা মারিয়া।—এই মূল সুরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পাপ স্বীকারের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুদিনের উৎসব। পরে পবিত্র খ্রিষ্টযাগ শেষে রাত ৮টায় আলোক শোভাযাত্রা, ১১টায় সাক্রান্তের আরাধনা, রাত ১২টায় নিশি জাগরণ ও নিরাময় অনুষ্ঠান হবে। কাল শুক্রবার সকাল ৮টায় জীবন্ত ক্রুশের পথ ও সকাল ১০টায় মহা খ্রিষ্টযাগের মাধ্যমে তীর্থোৎসবের সমাপ্তি হবে।
তীর্থ উৎসবের সমন্বয়কারী রেভারেন্ট ফাদার তরুণ বনোয়ারী বলেন, ধর্মীয় চেতনায় দেশি-বিদেশি হাজারো খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ভক্ত অংশ নেন। এই তীর্থস্থানে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৮ ফুট উচ্চতার ফাতেমা রানির মা মারিয়ার মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে। এই স্থানটি খ্রিষ্টভক্তদের জন্য একটি পবিত্র ধর্মীয় স্থান। এখানে এসে তাঁরা ধর্মীয় অনুভূতি জাগিয়ে বিভিন্ন প্রার্থনা করে থাকে। তাতে অর্ধলাখ খ্রিস্টভক্ত আত্মার প্রশান্তি পায়।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোনালিসা বেগম বলেন, ‘এই তীর্থোৎসবে দেশি-বিদেশি অর্ধলাখ তীর্থযাত্রীর আগমন হয়েছে। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা আশাবাদী, শান্তিপূর্ণভাবে ও চমৎকারভাবে এই তীর্থ সম্পন্ন করতে পারব।’