রাখাইনে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অবস্থান প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এই উত্তেজক পরিস্থিতি কিছু দিন ধরেই চলছে। আমাদের সীমান্তরক্ষীরা অনেক আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে আছেন। আমরা এ বিষয়ে সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা মনে করি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে যদি মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হবে।’
আজ শনিবার বিকালে যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সের ‘অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন বাংলাদেশ’র ভাইস-চেয়ার লেবার পার্টির এমপি বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে ৪ জন এমপিসহ ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি ওসব কথা বলেন।
নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিপুলসংখক রোহিঙ্গার কারণে ইতোমধ্যেই আমরা ভারাক্রান্ত। প্রতিবছর ৩৫ হাজার করে রোহিঙ্গা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। মানবিক কারণে তখন আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম। আমরা মনে করি, মিয়ানমারের পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে এই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা মনে করি, রোহিঙ্গাদের সেখানে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান। তারাও আমাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের পাশে আছে। আমরা মনে করি, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে তাদের প্রচেষ্টা ও চাপ অব্যাহত থাকবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকায় ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যা বন্ধের রায়কে আমরা স্বাগত জানাই। এই মামলায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে আমরা আগেই সমর্থন দিয়েছি।’