কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কালিগঞ্জের পল্লীতে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মৎস্য ঘেরে বিষ দিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি গত ১ লা ফেব্রুয়ারী রাতে উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের ড্যামরাইল গ্রামে ঘটেছে। এঘটনায় ভূক্তভোগি ঘের মালিক তারক চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের ড্যামরাইল ও সেরকাটি মৌজায় ১২ একর ২০ শতক জমিতে পৃথক দুইটি অংশ তারক বর্মন (৫২) ও বাসুদেব বর্মন (৪৫) মৎস ঘেরে মাছ চাষ করিয়া আসছে। চলতি মৌসুমে বাসুদেব বর্মন মৎস্য ঘেরে আনুমানিক ৬০ লাখ টাকার মাছ ছাড়ে। মৎস্য ঘের তাদের বসত বাড়ি সংলগ্ন হওয়ায় তারা বাড়ি থেকে ঘের দেখাশোনা করতেন। প্রতি দিনের ন্যায় মৎস্য ঘের দেখাশুনা করেন রাত ১০টার দিকে তারা বাড়িতে চলে আসেন। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রাত অনুঃ ১টার দিকে ঘুম থেকে উঠে মৎস্য ঘেরে লাইটের আলোয় বেশ কয়েকজন ব্যাক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখতে পান। উল্লেখিত ব্যাক্তিরা হলেন, একই গ্রামের ধিরেন ঘোরামীর ছেলে শ্যামপদ ঘোরামী, মৃত অধার কয়ালের ছেলে নিখিল কয়াল, অনুকুল বৈদ্যের ছেলে নিতাই বৈদ্য, সন্তোষ কয়ালের ছেলে বিধান কয়ালসহ কয়েকজন ব্যাক্তিকে দৌড়ে পালাতে দেখতে পান। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় মৃত সুধান্য বর্মনের ছেলে সমিত্র বর্মন, মৃত নিরঞ্জন কয়ালের ছেলে তুষার কয়াল, মৃত সন্যাসী ভাঙ্গী ছেলে নিরাপদ ভাঙ্গী, মৃত সুধান্য বর্মনের ছেলে বাসুদেব বর্মন সর্ব-সাং- ড্যামরাইল, থানা-কালিগঞ্জসহ আরো অনেকে বিষয়টি দেখতে পায়। এসময় তারা লক্ষ্য করেন বিষ দেওয়ার ফলে ঘেরে মাছ লাফালাফি করতে করতে মারা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে জমি যায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে উল্লেখিত ব্যক্তিরা (কীটনাশক) বিষ প্রয়োগ করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য এ ধনণের জঘন্য কাজ করেছে। বিষ প্রয়োগের ফলে প্রায় ৬০ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে বলে অভিযোগে করেন। মৎস্য ঘেলে বিষ প্রয়োগের বিষয় নিয়ে এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উল্লেখ্যঃ অভিযোগকৃত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারায় ঘটনায় মামলা হলে জীবনে আর কখনো এমন ধরণের কাজ করবেনা বলে মুচলেকা দিয়ে সে যাত্রায় রেহাই পায়।