উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। এরই মধ্যে এসব নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ভোটমুখী বেশিরভাগ দল এ নির্বাচনেও দলীয় প্রতীকেই লড়তে চায়। তবে বিএনপিসহ আন্দোলনরত দলগুলো বর্তমান সরকারের অধীনে সব পর্যায়ের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। আর স্থানীয় পর্যায়ে দুর্বল অবস্থানের কারণে এই ভোট নিয়ে ছোট দলগুলোর তেমন আগ্রহ নেই বলে জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে কালবেলার পক্ষ থেকে ৩৩ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধিত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে। এর মধ্যে আটটি দল এরই মধ্যে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে ১২টি রাজনৈতিক দল। এ ছাড়া দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করতে চায় দুটি দল। জাতীয় নির্বাচনের পর স্থানীয় নির্বাচনেও যাচ্ছে না ১০টি দল। এ ছাড়া নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও প্রার্থী দেওয়ার মতো অবস্থা না থাকায় এ নির্বাচন নিয়ে ভাবছে না একটি দল।
আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তপশিল ঘোষণা না হলেও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সারা দেশে উপজেলা পরিষদ আছে ৪৯৫টি। আগামী ৪ মে থেকে মোট চারটি ধাপে এসব নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, ‘ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট হবে ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে ১১ মে, তৃতীয় ধাপের ভোট হবে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে।’