কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কালিগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে জমি লীজ নিয়ে মৎস্যঘের করার কারণে মামলাবাজ মোনায়েমের ষড়যন্ত্রের স্বীকার দুই গনমাধ্যমকর্মী। নানান অপ প্রচার ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করার হুমকীর অভিযোগ উঠেছে মোনায়েমের উপর। সে উপজেলার বন্দকাঠি গ্রামের মৃত আনছার উদ্দিন গাজীর ছেলে। প্রতিকার চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন বর্তমান ঘের মালিকদ্বয়।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে,
উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি গ্ৰামের মৃত আলহাজ্ব আনসার উদ্দিনের ৩ পুত্র ও ২ কন্যা ২০২৪ সালের জানুয়ারী থেকে পাঁচ বছরের জন্য প্রচলিত নিয়মে আব্দুল আজিজ গাজী, মোকাররম হোসেন, মোয়াজ্জাম হোসেন, রেহানা পারভীন ও তাহমীনা পারভীন এর
কাছ থেকে পৈতৃক সম্পত্তি ৫০ খতিয়ানের ১১৭৮, ১৪৭৭, ১৪৮০ দাগ থেকে ১ একর ৪২ শতক জমি পাঁচ বছরের জন্য ডিড নেয় উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্ৰামের মৃত আবুল কাশেম শেখের পুত্র শিমুল হোসেন, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শ্রীধরকাটি গ্রামের মৃত চন্দ্রকান্ত ঘোষের পুত্র তাপস কুমার ঘোষ ও মুকুন্দ মধুসূদনপুর গ্রামের বাকের আলী মোড়লের পুত্র আনারুল ইসলাম। উপরোক্ত দাগ খতিয়ানের জমি ডিড মালিকগণ ঘেরের জমি পরিচর্চা করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করে দেয়। কিছুদিন পর থেকে বন্দকাটি গ্ৰামের মৃত মুরালি গাজীর পুত্র আব্দুল খালেক (৪৫) কুখ্যাত ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করে জোরপূর্বক জমি দখল করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন রকমের ভয়-ভীতি মারধর ও জীবননাশের হুমকি ধমকি দিয়ে ঘের ডিড মালিকগণকে বিতাড়িত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এরই ধারাবাহিকত বন্দকাটি গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আনসার উদ্দিন এর পুত্র মোনায়েম হোসেন (৫৫) ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত কয়েকটি পত্রিকায় ডিড মালিক সাংবাদিক শিমুল হোসেন, সাংবাদিক তাপস কুমার ঘোষ, আনারুল ইসলাম ও গিয়াস উদ্দিনসহ ৭-৮ জনের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে নীল নকশা আটতে থাকে। এমনকি ঘেরে মাছের পোনা অবমুক্ত করার চেষ্টা করলে বিভিন্ন অজুহাতে বাঁধা সৃষ্টি করছে। ধুরন্ধর এই মোনায়েম চিহৃিত মামলাবাজ ও বিশ্বাসঘাতক। তার আপন ভাই বোনেদেরকেও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দীর্ঘদিন যাবত হয়রানী করে আসছে। এ ব্যাপারে মোনায়েমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।