কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কালিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জের পল্লীতে ভাই বোনের বিরোধ মিমাংসায় গিয়ে দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি মথুরেশপুর ইউনিয়নের দুদলী গ্রামের মৃত শেখ আজিজুর রহমানের বাড়িতেই ঘটেছে।
সরেজমিন সূত্রে জানাগেছে, প্রয়াত সাবেক সরকারি কর্মকর্তা শেখ আজিজুর রহমানের সেজ মেয়ে নাজমিন সুলতানা সুমি ও ছোট মেয়ে তানিয়া সুলতানা ইতির অত্যাচারে বৃদ্ধা মা, বড় ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা জর্জরিত। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ তাদের আপন মেজ ভাই স্কুল শিক্ষক ও সাংবাদিক শেখ শামীম উর রহমানের নিজ নামীয় ১২ শতক সম্পতিতে জোর জবর দখল করে ভোগ দখল করে আসছে। এমনকি শামীম উর রহমানের গাছের ফল, বাঁশ ও মাটি কেটে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। এই জমি নিয়ে প্রতিনিয়ত তাদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে। বাঁধা দিতে গেলে অসভ্য ভাষায় গালি গালাজ ও বড় ভাইদেরকে মারতে আসে। দু বোনই স্বামী পরিত্যক্ত হওয়ায় বাবার ভিটায় থেকে প্রতিনিয়ত মা, ভাই, ভাবিদের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে পুরা পরিবারটাকে বিষন্ন করে তুলেছে। অপ্রতিরোধ্য দুই বোন খুঁটিনাটি পায়ে পা বাঁধায়ে ঝগড়া করে থানা পুলিশ করে পরিবেশ বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এবিষয়ে জর্জরিত হয়ে গত ২২ অক্টোবর -২৩ ভুক্তভোগী শেখ শামীম উর রহমান মথুরেশপুর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাকিম এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ৫ মাস যাবৎ নাজমিন সুলতানা সুমি চেয়ারম্যানের নিকট সময় নিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে গত রবিবার সকাল ৮ টায় চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুনছুর আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জহুর আলীকে দায়িত্ব দেন সরেজমিন গিয়ে ভুক্তভোগীর সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার জন্য। মৌখিক এ আদেশের আলোকে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে মুক্তিযোদ্ধা দ্বয় বিরোধপূর্ণ যায়গায় গিয়ে সমস্যা নিরশনে কথা বলতেই তেড়ে আসে ঐ দুই বোন। শেখ শামীম উর রহমানের নিজস্ব সম্পতিতে ঘেরা দেওয়াকালে উপর্যুপরি ভাবে তাদের মা, ভাই ও উপস্থিতিদের মারতে উদ্যত হয়। এমনকি বোনেরা শামীম উর রহমানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার দেওয়া ঘেরা কেটে ফেলেছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাংবাদিক শেখ শামিম উর রহমান। অপরদিকে শামিম এর বোন সুমি ও ইতি জানান তার পিতা বেঁচে থাকতে এই জমি দিয়ে গেছেন, সেই থেকেই জমি আমাদের দখলে আছে। আমরাও তো সুষ্ঠু সমাধান চাই। বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলী জানান, শামিমের দুই বোন চরম অসামাজিক ও উচ্ছৃঙ্খল। তাদের অত্যাচারে বৃদ্ধা মা, বড় বড় ভাই ভাই ভাবী এবং গ্রামবাসী জর্জরিত। এমনকি আমাদের উপরেও হামলার চেষ্টা করেছে তারা।