পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রায় কাজ করছে সরকার। অভিযোজন সক্ষমতায় বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রা জনিত পরিস্থিতি সামাল দিতে নগর ও শহরে প্রচুর পরিমানে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। সরকার প্রচুর সংখ্যক গাছ লাগাচ্ছে। জনগণকে ও প্রচুর পরিমানে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। রাজধানী ঢাকায় মাটি ও পানির জলাশয়ের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান ন্যাপ এক্সপোর ৩য় দিনে ‘ ইমপ্লিমেন্টেশন ন্যাশনাল গাইডলাইন্স ইন আরবান লোকাল গভর্মেন্ট কন্টেক্সট উইথ ইফেক্টিভ পার্টিসিপেশন: লার্নিং ফ্রম প্রাকটিসেস ‘ শীর্ষক কারিগরি অধিবেশনে প্রধান প্যানেলিস্টের বক্তব্যে পরিবেশ সচিব এসব কথা বলেন।
পরিবেশ সচিব বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্যে আপডেট হওয়া NDC-এর লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস (GHG) নির্গমণ ৬.৭৩ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সহায়তায়, ২০৩০ সালের মধ্যে এই হ্রাসের পরিমাণ আরও ১৫.১২ শতাংশ হতে পারে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা অপরিহার্য।
প্রধান প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডঃ ফারহিনা আহমেদ। প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) ড. সারোয়ার বারী; বাংলাদেশে নিযুক্ত জিআই লযেড এর জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই নগর উন্নয়ন ক্লাস্টার-এর ক্লাস্টার সমন্বয়কারী ডানা দে লা ফন্টেইন; বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (IUCN) এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এম. মেহেদী আহসান প্রমুখ। সেশনে দেশী-বিদেশী আলোচকরা বক্তব্য রাখেন।