গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, যেকোনো সভ্যতা, যেকোনো সভ্য জাতিগোষ্ঠীর প্রাণ হলো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যদি প্রাণবন্ত না হয়, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যদি প্রবাহ না থাকে, তাহলে সভ্যতা টিকতে পারে না।
২৭ এপ্রিল (শনিবার) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের লেকচার থিয়েটার কক্ষে ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র আয়োজিত বৃত্তি প্রদান, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে যত বেশি চর্চা করা যাবে ততই এটার শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং সভ্যতারও বিকাশ হবে। বাংলা ভাষা ও বাঙালির সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধ। বাংলা নববর্ষ পূর্বে বিক্ষিপ্তভাবে উদযাপন করা হলেও এটি এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে। এটি বাঙালির সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির বড় শক্তি হলো, এটি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে টানতে পারে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত আমি তাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাই না, আমি সবাইকে নিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এসময় মন্ত্রী ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।
গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, সংস্কৃতির রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংস্কৃতির বিকাশের ক্ষেত্রে ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। পাশাপাশি বিগত চার বছর যাবৎ দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা করছে। তাদের এই কর্মপ্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ. এস. এম শফিকুল্লাহ।
এসময় নাট্যকলায় অবদানের জন্য কবি আব্দুল মান্নান সরকারকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া ১০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।