পাট ও বৈচিত্র্যকৃত পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে ভর্তুকি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক বৈচিত্র্যকৃত পাট পণ্য রপ্তানিতে ভর্তুকি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এতে পাটের উৎপাদন এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়বে।
মন্ত্রী সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে একথা বলেন। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল পাটের উন্নয়ন সংক্রান্ত তাঁদের কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফসহ মন্ত্রণালয় ও পাট অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের যে কোন মূল্যে পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা তার জন্য চেষ্টা করছি। উৎপাদন এলাকার সীমানা বাড়ানোর চেষ্টা করছি, ক্ষেত্র বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
মন্ত্রী এ সময় জানান, সম্প্রতি পাট পাতা থেকে চা উৎপাদন করা হচ্ছে। যা রপ্তানির বড় সম্ভবনা আছে। পাট পাতা দিয়ে তৈরী ‘ রোজেলা’ ও ‘পাট পাতার চা’ ব্রান্ডের চা শিগগিরই বাজারজাত করা হবে। এই চা সুস্বাদু।
তিনি বলেন, এছাড়া পাট থেকে পরিবেশবান্ধব সোনালী ব্যাগ উৎপাদনে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। শীগ্রই তা বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব হবে। তখন আমরা সারাদেশে ছেয়ে যাওয়া পলিথিন থেকে অনেকটা মুক্তি পাব। এখন আমরা এ ব্যাগের দাম যেন সকলের সাধ্যের মধ্যে থাকে সেই জায়গায় কাজ করছি।
ভারত ও ব্রাজিলের এন্টি ডাম্পিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচন শেষ হয়েছে। আমরা এখন এন্টি ডাম্পিং দিয়ে ভারতের সঙ্গে কাজ করব। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন পরে ব্রাজিল যাবেন। সে সময় তাদের সঙ্গে এন্টি ডাম্পিং তুলে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলা হবে। আমি আশা করি এন্টি ডাম্পিং নিয়ে খুব শিগগির আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যেতে পারবো।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আমলে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হলেও আওয়ামী লীগ অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়। তিনি বলেন, সংসদ সদস্যরা সম্পদের হিসাব দেয়। এক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদেরও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে ও মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুধু মুখে নয়, কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। যাদের নাম আসছে, সেগুলো ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে না। বর্তমান সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন দলের অনেক এমপিকে দুদকে যেতে হয়েছে। কিন্তু বিএনপি আমলে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি।