সড়কে নীতিমালা প্রণয়ন থেকে বাস্তবায়ন সকল ধাপে তরুণ অংশগ্রহণ আবশ্যই থাকতে হবে। এমন মন্তব্য করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিদুল করিম। আজ ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বেলা ১১ টায় রাজধানীর শ্যামলীস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে “মানবতার সেবায় তারুণ্য” শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, নীতি নির্ধারকরা নীতিমালা প্রণয়ন করবেন এবং সেই নীতিমালা সমূহ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
আলোচনা সভায় শিক্ষার্থী সামেল যোহায়ের, ফারহিন রুহানী, নাবিল ওয়াসিত, মুহতাসিম শাহরিয়ার, মাহিদুল করিম এবং উমায়ের উপস্থিত থেকে সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থপানায় তাদের অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করেন। এসময় সামেল যোহায়ের বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এবং ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব নেয়ার পরেও সড়কের শৃঙ্খলা পর্যবেক্ষণে থাকবে তরুণরা। নাবিল ওয়াসিত বলেন, সড়কে সকলের নিরাপত্তায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তরুণদের মতামত গ্রহণ করা ও প্রাধান্য দেয়া অত্যান্ত জরুরী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিথ তরুণ আলোচকদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরম ফর হেল্থ এন্ড ওয়েলবিং-এর সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদসহ তরুণ শিক্ষার্থী এবং সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
আলোচনা শেষে তরুণ শিক্ষার্থীরা সড়কে দুর্ঘটনারোধে বিভিন্ন ধরনের বার্তা সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে শ্যামলী প্রধান সড়কে অবস্থান শেষে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জড়িত অন্যান্য তরুনদের মাঝে ফুল এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করে।
উল্লেখ্য, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত ‘গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেফটি-২০২৩’ এর তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১১ লক্ষ ৯০ হাজার মানুষ নিহত হয় সড়ক দুর্ঘটনায়। আর ৫-২৯ বছর বয়সের মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতি মিনিটে ২ জনের বেশি এবং প্রতিদিন কমপক্ষে তিন হাজার ২০০ জনের মৃত্যু হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায়।