পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানাধীন কাজীরহাট-আরিচা নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের মধ্যে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। দ্রুত নদী পারাপারের জন্য যাত্রীরা মূলত এই রুটে স্পিডবোট ব্যবহার করতেন। তবে সম্প্রতি স্পিডবোট পরিচালনা নিয়ে জটিলতার কারণে এ সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষের ভ্রমণের দুর্ভোগ বেড়েছে।
২০১৬ সালে কাজীরহাট-আরিচা রুটে লঞ্চ ও ফেরির পাশাপাশি স্পিডবোট চালু হয়। এই রুটের দূরত্ব মাত্র ১৩ কিলোমিটার, যা স্পিডবোটে পার হতে সময় লাগে ১৭ থেকে ২০ মিনিট। প্রতি দিন প্রায় এক হাজার যাত্রী স্পিডবোটে নদী পারাপার করতেন। তবে বর্তমানে স্পিডবোট সেবা বন্ধ থাকায় তাদের বাধ্য হয়ে লঞ্চ ও ফেরির অপেক্ষা করতে হচ্ছে, যা তুলনামূলক অনেক সময়সাপেক্ষ। এতে করেই যাত্রীরা দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সম্প্রতি স্পিডবোট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় তিনটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ায় এ সংকট তৈরি হয়েছে। স্পিডবোট চালনার অনুমতি ও রুট পারমিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার ফলে যাত্রীদের এই সেবা পাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। যাত্রীরা আরও অভিযোগ করেছেন যে, স্পিডবোট চলাকালীন অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হতো। কাজীরহাট থেকে আরিচা পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য গড়ে ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকা ভাড়া আদায় করা হতো, যা সাধারণ মানুষের জন্য যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তারা দাবী করেছেন, ভাড়া কমিয়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হোক, যাতে সাধারণ মানুষের যাতায়াত সহজ হয়।
যাত্রীদের এ অভিযোগ ও দাবি সামাজিক ন্যায্যতা এবং যাত্রী অধিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনেক যাত্রী বলেন, স্পিডবোট বন্ধ থাকায় তারা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না, ফলে কর্মজীবী মানুষদের কাজের ক্ষেত্রেও ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন করার ওপর জোর দেন তারা।
যাত্রীদের এ ভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। তারা চায়, ভাড়া নির্ধারণে জনস্বার্থ রক্ষা করে নৌরুটে স্পিডবোট সেবা আবার চালু করা হোক এবং তা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের যথাযথ তদারকি থাকুক।