ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে অস্থায়ী ভিত্তিতে মহিলা স্বেচ্ছাসেবী পদে নিয়োগ কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। একক আধিপত্য বিস্তার করে নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রোকসানা আক্তারের যোগসাজসে সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মো. মনিরুজ্জামান মনির ১৫টি (সকল) শূন্য পদই কোনরকম মেধা যাচাই না করেই নাম মাত্র একটি মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিজস্ব পকেটের লোকদের নিয়োগ দেন। এই অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে পুনরায় নিয়োগের দাবী জানিয়েছেন নিয়োগ বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থী ও মেধাবী প্রার্থীরা। গতকাল শনিবার (১৪/৯) নিয়োগ বঞ্চিত রুবিনা আক্তার, সাকিবা আক্তার, তানিয়া আক্তারসহ অনেক প্রার্থী সাংবাদিকদের কাছে এ নিয়োগের অনিয়ম দুর্নীতির ও স্বজনপ্রীতির চিত্র তুলে ধরেন। সুত্র জানায়, নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের ২/ক ইউনিট গ্রাম বগডহর বাড়ি নং-১-৬১০-তে তামান্না সুলতানা পিতা গুলজার মিয়া নামে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সে ওই ইউনিটের স্থায়ী বাসিন্দা নয়। অথচ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে ‘ইউনিয়নের ইউনিট সমূহের অর্ন্তভূক্ত গ্রাম/মহল্লা স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে’। শিবপুর ইউনিয়নের প্রার্থী জান্নাতুল মাওয়ার স্বামী ইমন মিয়া অভিযোগ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান তাঁর লোকের মাধ্যমে তাঁর বাসায় ও অফিসে ডেকে নিয়ে দেড় লাখ টাকা দাবী করেছেন, বলেছে টাকা দিতে পারলে চাকুরী হবে,আমি টাকা দিতে না পারায় আমার স্ত্রীর মেধা থাকা সত্বেও চাকুরী হয়নি। শিবপুর ইউনিয়নের প্রার্থীর অভিভাবক কামরুজ্জামান তাঁর বোন প্রার্থী ছিল এক লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে বলে ফেসবুকে ষ্ট্রেটাস দিয়েছেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ্ আল রোমান বলেন, তাঁকে যারা টাকা দিতে পেরেছে তাদেরই চাকুরী হয়েছে। এই ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়োগ কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রায় ১৭ জন লোকের জন্য আমার নিকট সুপারিশ নিয়ে এসেছিলো আমি মেধার ভিত্তিতে তাদেরকে নিয়োগ দিতে পারনি বলে তাহাদের প্রার্থীরা আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।এখানে মেধা ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে,কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। তাছাড়া ও কিছু সাংবাদিক উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে আমাকে হ্যায়প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে আমি খুব দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানাবো। এ ব্যাপারে নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব রোকসানা আক্তার এ নিয়োগে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হয়নি বলে দাবী করেছেন। উক্ত নিয়োগে পাঁচ সদস্যের ওই নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম, সদস্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডাক্তার ডাঃ সোহেল হাবিব, সদস্য স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান। তাদের কাছে জানতে চাইলে তাঁহারা বলেন, এ নিয়োগ বিষয়টি সর্ম্পূনটাই চেয়ারম্যানের এখতিয়ারে ছিল কিন্তু অনিয়মের মতো কিছু আমরা দেখতে পাইনি