
ইবি প্রতিনিধি: দেশব্যাপী লাগাতার সকল ধর্ষণের বিচার ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার নেতাকর্মীরা। সোমবার (১০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিকেল সাড়ে ৩টায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এসময় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিন, সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন রাহাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাব্বির, দাওয়াহ সম্পাদক নেয়ামাতুল্লাহ ফারিস, প্রচার ও দফতর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, তালাবায়ে আরাবিয়ার সাধারণ সম্পাদক এস. এম. শামিম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সাজ্জাতুল্লাহ শেখ, সায়েম আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সংগঠনটির সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন রাহাতের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, “যেখানে আমার বোন আছিয়া হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে, যেখানে আসামি তাদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে, সেখানে ধর্ষণের বিচার করতে ১৮০ দিন কেন লাগবে? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি আমাদের মা-বোনদের হয়রানির বিচার সুনিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে এ দেশের মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। ধর্ষকের কোনো দলীয় পরিচয় নেই, তার একটাই পরিচয়—সে অপরাধী। যদি ধর্ষণের বিচার না করা হয় এবং প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর না করা হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।”
সংগঠনটির ইবি শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিন বলেন, “বাংলাদেশে ধর্ষণ আজ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও আমাদের মা-বোনেরা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, অথচ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব অপরাধ দমনে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মনে করি, বর্তমান বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। ইসলামই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে। ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সমাজ থেকে ধর্ষণ ও সকল প্রকার অনৈতিকতা নির্মূল করা সম্ভব।”