হাফিজুর রহমান শিমুলঃ কালিগঞ্জের পল্লীতে প্রতিবন্ধী আয়ুব আলী পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সে উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের লক্ষীনাথপুর গ্রামের দিনমজুর এবাদ আলী সরদারের পুত্র। অতি পরিশ্রমী ও কর্মট আয়ুব আলীর মাতা, স্ত্রী ও দুই কন্যার এবং এক পুত্র সন্তানসহ ৬ সদস্যের সংসার ভালোই চলছিল কিন্তু বিধি বাম হয়ে দাঁড়ায় উদ্যমী যুবক আয়ুব আলীর। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় তার একটা পা ভেঙ্গে যায়। জানাগেছে, সে মটর সাইকেল যোগে কালিগঞ্জ থেকে বাড়ীতে যাওয়ার পথে ঠেকরা মোড়ে পৌছাইলে দ্রুতগামী একটি ইঞ্জিন ভ্যান তাকে ধাক্কাদিয়ে ফেলে দেয়। এঘটনায় আয়ুব আলীর একটি পা ভেঙ্গে যায় এবং গুরুতর রক্তাক্ত যখম হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা তাকে প্রথমে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে অবস্থার অবনতি হলে সদর হাসপাতালে তাকে রেফার্ড করা হয়। পরবর্তীতে তার অবস্থা আরও অবনতি হওয়ায় আয়ুব আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তী করা হলে তার একখানা পা কেটে ফেলতে হয়। সেই থেকে আয়ুব আলী পঙ্গুবনে চলে যায়। এখন সে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে। আয়ুবের বড় মেয়ে আরিফা পারভীন নবম শ্রেনী ও বিথী সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী। তারা দুইজন কুশুলিয়া দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্রী। একমাত্র পুত্র রমজান আলী উভাকুড় মক্তবে পড়ালেখা করে কিন্তু বর্তমানে পরিবারের সকলেই মানবেতর জীবন যাপন করছে। যথাযথভাবে সংসার নির্বাহ করতে হিমশীম করতে হচ্ছে পরিবারের সকলে। ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী আয়ুব আলীকে চলার জন্য সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে একটি হুইল চেয়ার প্রদান করেন এবং একটি প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেন। তবে আয়ুব আলী নিজে পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতে চায়। সে জন্যে সরকারের দান অনুদানের পাশাপাশি এলাকার ঢর্ণাঢ্য ব্যাক্তিদের অবদানে ইজিবাইক ক্রয় করতে চায়। সাথে সাথে নকল পা সংযোজন করাইতে চায়। এদিকে আয়ুব আলীর স্ত্রী শাহানারা খাতুন ও বৃদ্ধা মাতা জাহানারা বেগম এ প্রতিনিধিকে জানান, তাদের সংসার চলে এখন পরের কাছে হাত পেতে। অনেক টাকা ঋনী হয়ে এখন সে দিশেহারা। তাই আয়ুব আলীর জন্য মানবিক দৃষ্টিতে দেখার জন্য সরকারী কর্মকর্তা সহ এলাকার পুঁজিপতিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আয়ুব আলীসহ তার অসহায় পরিবার।