সিরাজগঞ্জ সলঙ্গাতে এখনো পেঁয়াজের ঝাঁজ উর্দ্দমুখী। সারাদেশে সরকারি ভাবে মনিটরিংয়ে নামার কারণে সারাদেশে পেঁয়াজের দাম একটু কমলেও সিরাজগঞ্জ সলঙ্গাতে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণার ২৪ ঘন্টায় কোন কারণ ছাড়াই হু হু করে রাতারাতি বেড়ে যায় কেজিতে ৪০ টাকা থেকে ৮০ বেড়ে ১১০ – ১২০ টাকা ধরে। সলঙ্গার বাজার গুলিতে পেঁয়াজের দামে যেন আগুন লেগেছে। লাগামহীন পেঁয়াজের বাজার জনজীবনে নতুন অস্থিরতা। সিন্ডিকেটার কবল থেকে বেরুতে পারছে না পেঁয়াজের বাজার। পেঁয়াজের ঝাঁজ এত বেশি যে সারা দেশের ন্যায় সলঙ্গাতে তা ছড়িয়ে পড়েছে। মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৬ – ৭ গুণ। পাঁচ – ছয় মাস আগে যেখানে দাম না পাওয়ায় কৃষকের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠত হাট – বাজার, সেখানে হাট – বাজারগুলোতে পেয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ঝাঁজে চোখ দিয়ে জল ঝরছে ক্রতার। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার ফলে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম গত কয়েক দিন স্থির ও কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতা থাকলেও খচরা বাজারে এখনো এর কোনো প্রভাব পড়েনি। জনমনে ক্ষোফ দুই জাঁহাজ পেঁয়াজ গেলোকথায়।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার থানার হাট – বাজারগুলোতে গত কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজের বাজার – দর ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে কোরবানির ঈদ থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। সলঙ্গা আমশড়া হাটের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বাছের আলী জানান, আমরা পাবনা বেড়াসহ দেশের বিভিন্ন হাট – বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে থাকি। তিনি আরো বলেন, এখন যারা হাটে বিক্রি করার জন্য পেঁয়াজ নিয়ে এসেছে তাদের অধিকাংশ বিক্রেতাই মজুতদার।
সিরাজগঞ্জ সলঙ্গাতে এখনো পেঁয়াজের ঝাঁজ উর্দ্দমুখী। সারাদেশে সরকারি ভাবে মনিটরিংয়ে নামার কারণে সারাদেশে পেঁয়াজের দাম একটু কমলেও সিরাজগঞ্জ সলঙ্গাতে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণার ২৪ ঘন্টায় কোন কারণ ছাড়াই হু হু করে রাতারাতি বেড়ে যায় কেজিতে ৪০ টাকা থেকে ৮০ বেড়ে ১১০ – ১২০ টাকা ধরে। সলঙ্গার বাজার গুলিতে পেঁয়াজের দামে যেন আগুন লেগেছে। লাগামহীন পেঁয়াজের বাজার জনজীবনে নতুন অস্থিরতা। সিন্ডিকেটার কবল থেকে বেরুতে পারছে না পেঁয়াজের বাজার। পেঁয়াজের ঝাঁজ এত বেশি যে সারা দেশের ন্যায় সলঙ্গাতে তা ছড়িয়ে পড়েছে। মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৬ – ৭ গুণ। পাঁচ – ছয় মাস আগে যেখানে দাম না পাওয়ায় কৃষকের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠত হাট – বাজার, সেখানে হাট – বাজারগুলোতে পেয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ঝাঁজে চোখ দিয়ে জল ঝরছে ক্রতার। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার ফলে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম গত কয়েক দিন স্থির ও কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতা থাকলেও খচরা বাজারে এখনো এর কোনো প্রভাব পড়েনি। জনমনে ক্ষোফ দুই জাঁহাজ পেঁয়াজ গেলো কোথায়?
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার থানার হাট – বাজারগুলোতে গত কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজের বাজার – দর ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে কোরবানির ঈদ থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। সলঙ্গা আমশড়া হাটের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বাছের আলী জানান, আমরা পাবনা বেড়াসহ দেশের বিভিন্ন হাট – বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে থাকি। তিনি আরো বলেন, এখন যারা হাটে বিক্রি করার জন্য পেঁয়াজ নিয়ে এসেছে তাদের অধিকাংশ বিক্রেতাই মজুতদার। দাম বাড়ায় এখন তাদের মজুত করা পেঁয়াজ হাটে চড়া দামে বিক্রি করে দিচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রেতা সলঙ্গা থানার আমশড়া গ্রামের কলিমুদ্দিন সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি জেলার বিভিন্ন হাট থেকে চড়া দামে পেঁয়াজ কিনে বেশি দামে বিভিন্ন হাটে বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।তিনি আরো বলেন, ভারত পেঁয়াজ বন্ধ করে দেওয়ায় পেঁয়াজের বাজারে আগুন আমরা এখন কি করবো। তাই বেশি দামে এনে বেশি দামে বিক্রি করে থাকি। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের মৌসুমে বিভিন্ন হাট – বাজার থেকে কম দামে পেঁয়াজ কিনে মজুত করে রাখে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পেঁয়াজ চাষি তাদের উৎপাদনের খরচ মেটানোর জন্য বিভিন্ন এনজিও মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ধার নিয়ে থাকে। মাঠ থেকে পেঁয়াজ তোলার পরপরই ধারের টাকা সুদে -আসলে পরিশোধ করতে গিয়ে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হয়। ওই সময়ে বাজারে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় চাষিরা লাভের চাইতে লোকসানের মুখে পড়ে, যার ফলে তাদের সারা বছর এই ঘাটতির বোঝা বয়ে বেড়াতে হয়। জমি থেকে পেঁয়াজ ওঠানোর মৌসুমের প্রায় চার – পাঁচ মাস মজুত উপযোগী পেঁয়াজ মণপ্রতি ৫শ থেকে ৬শ টাকা বেচাকেনা হতে থাকে, যা মণপ্রতি উৎপাদন খরচের অর্ধেক। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত কৃষক ধারদেনা পরিশোধ, পেঁয়াজ সংরক্ষণের জায়গা ও সুব্যবস্থা না থাকার কারণে তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ মজুত করতে না পারায় পেঁয়াজের সঠিক মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। সলঙ্গা আমশড়া বাজারের ব্যবসায়ীক নূরাল শেখ বলেন, সলঙ্গায় কাঁচা কৃষিপূর্ণজাত দর্বাআদি মজুত রাখার জন্য একটি হিমাঘাড় থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। হিমাঘাড় না থাকার কারণে এই উচ্চ বাজরের মুনাফা লোটার সুযোগ পেয়েছে এক মাত্র মজুতদাররা। এমনি কি আনতে হয় বিদেশ থেকে আমদানি করে। লাকসান গুনতে হয় বৈদেশিক মুদ্রাও। মাথার ঘাম পায়ে ফলে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী কৃষক পড়ে থাকে মরীচিকার পেছনে।