মাত্র কয়েকদিন আগেই প্রথম সন্তানের বাবা হয়েছেন হাফেজ মাওলানা মাহাদি হাসান (৩২)। যখন এই আনন্দে ভাসছিলেন তিনি, তখনই তার জীবনে নেমে এল অমানিশার অন্ধকার। ছেলের নাম রাখার আগেই বেপরোয়া বাসের চাপায় পা হারিয়ে এখন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছেন তিনি।
কয়েকদিন পর যে সন্তানকে হাত ধরে মাহাদির হাঁটা শেখানোর কথা, এখন সেই সন্তানের কাঁধে ভর দিয়ে তাকে বাকি জীবন চলতে হবে।
আহত মাহাদি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের শাহগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব। ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পশ্চিম দাপুনিয়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনের ছেলে তিনি।
গত ২১ অক্টোবর-19 রাত সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে চড়পাড়া এলাকায় যাচ্ছিলেন তিনি। পথে শম্ভুগঞ্জ রেলগেট এলাকায় কিশোরগঞ্জগামী একটি বাসকে অপর একটি বাস ওভারটেক করার সময় তার মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তিনি ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। পরে বাসটি তার ডান পায়ের ওপর দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আনা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ডাক্তারদের নির্দশনায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে আনা হয়। এখানে আসার পর জীবন বাঁচাতে চিকিৎসকরা তার ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলেন। কিন্তু দুর্ঘটনায় তার হাঁটুর ওপরের অংশটুকুও মারত্মক জখম হওয়ায় এখন সেটুকুও কাটার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মাহাদি বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আইজে ওয়ার্ডের ২৫নং বিছানায় ডা. ওয়াহিদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার পুরোপুরি সুস্থ হতে দীর্ঘদিন সময় লাগবে। সুস্থ হওয়ার পর কৃত্রিম পা সংযোজন করতে পারবেন মাহাদি।
ইতিমধ্যেই অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আবার নতুন করে অপারেশন, দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা ও ওষুধে খরচ হবে অনেক টাকা। এছাড়াও আছে নবজাতক ও পরিবারের জীবন ধারণের খরচ। সবকিছু মিলিয়ে জীবনের কঠিন পরীক্ষায় পড়েছেন ইমাম ও খতিব মাওলানা মাহাদি হাসান। কিন্তু আমরা সবাই মিলে যদি এগিয়ে আসি, আল্লাহর রহমতে হয়তো খুব সহজেই এই কঠিন পরীক্ষায় পাস করতে পারবেন তিনি।
মাহাদিকে সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগঃ ০১৭১৭৩৮৮৫০৪ (বিকাশ পারসোনাল) মোহাম্মদ হাছান, ইমাম ও খতিব, টোটালিয়া পাড়া জামে মসজিদ, শ্যামলাসী, সাভার, ঢাকা।