হাফিজুর রহমান শিমুলঃ ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে কালিগঞ্জ উপজেলায় অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ , তলিয়ে গেছে শত শত বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। সড়কে পড়ে আছে ছোট বড় অনেক গাছ। বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইনের তার ছিন্ন বিচ্ছিন্ন। জনগনের সাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাহত হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোর রাত তিনটা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত প্রবল বেগে দমকা হওয়া থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে বুলবুলের তীব্রতা কমতে থাকে। এদিকে, উপজেলার শতশত কাঁচা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও শতশত কাঁচা ঘরবাড়ির আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে এবং শতশত হেক্টর ফসলের ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল আমিন। এছাড়াও উপজেলায় শতশত বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে, এ উপজেলায় কোন প্রানহানির ঘটনা ঘটেনি।
কালিগঞ্জের ১২ টি ইউনিয়নে ৫৪টি আশ্রয়নকেন্দ্রে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, ইউ এন ও মোজাম্মেল হক রাসেল, থানার অফিসার মোঃ দেলোয়ার হুসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যানগন ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের কবল থেকে সাধারণ জনগনকে নিরাপদে নিতে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন।
এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল কালিগঞ্জে ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী করণীয় বিষয়ে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধের সাথে মত বিনিময় করেছেন। রবিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।