আগামীকাল রবিবার সাতক্ষীরার নলতায় ওরছ শরীফ
অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, সাহিত্যিক, দার্শনিক, শতাধিক গ্রন্থের রচয়িতা, মুসলিম রেঁনেসার অগ্রদূত, অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী, ‘স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা’ এ মহান ব্রতকে সামনে রেখে নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নেপথ্যের কারিগর, সুফী-সাধক, পীরে কামেল সুলতানুল আউলিয়া কুতুবুল আকতাব গওছে জামান আরেফ বিল্লাহ হজরত শাহছুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.)এঁর ৫৬ তম বার্ষিক ওরজ শরীফ আগামী ৯, ১০, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২৬, ২৭, ২৮ মাঘ রবি, সোম ও মঙ্গলবার যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে কালিগঞ্জ উপজেলাধীন নলতা পাক রওজা শরীফ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চলছে শেষ মুহূর্তের জোর প্রস্তুতি। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে আগত হাজার হাজার জায়েরীন ভাই-বোনদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা, রন্ধনশালা, খাওয়া, যানবাহনের সু-ব্যবস্থা, কেন্দ্রীয় মিশন অফিসের সামনে কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি প্রদত্ত লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নান্দনিক গেট সহ বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গেট, প্যান্ডেল, মাহফিল মাঠ, পাক রওজা শরীফ, মসজিদ ও আশপাশের এলাকা সজ্জিতকরণ, লাইটিং সহ নানান সাজে সেজেছে নলতার বিভিন্ন এলাকা। দিন-রাত পরিশ্রম করে চলেছেন মিশন কর্তকর্তা-কর্মচারী ও অসংখ্য নারী-পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক। ওরজ শরীফ উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণস্থান বা এলাকা সিসি ক্যামেরাদ্বারা নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে।
নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ৫৬ তম বার্ষিক ওরছ শরীফের আহবায়ক ও নলতা পাক রওজা শরীফের শ্রদ্ধেয় খাদেম মৌলভী আনছার উদ্দিন আহমদ এর বিশেষ তত্ত্বাবধানে এবং মিশনের সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপির দিক নির্দেশনায় অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক ওরছ শরীফ অনুষ্ঠানের সূচী হলো-
২৫ মাঘ, ৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার’২০২০ : বাদ মাগরিব, পীরজাদাগণের রুহের মাগফেরাত কামনায় পাক রওজা শরীফে মিলাদ মহফিল।
২৬ মাঘ, ৯ ফেব্রুয়ারি, রবিবার : বাদ ফজর হতে ৯টা পর্যন্ত পাক রওজা শরীফে খতমে কোরান মজিদ, মিলাদ শরীফ ও হজরত শাহছুফী সৈয়দ গফুর শাহ আল হোচ্ছামী (রহ.) এঁর রুহের উপর ছওয়াব রেছানী। সকাল ০৯.৩০ হতে বেলা ১১.০০ টা পর্যন্ত পাক রওজা শরীফে হজরত শাহছুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহছানউল্লা (রহ.) এঁর বেছাল শরীফ উপলক্ষে কলেমাখানি, কুলখানী, আলোচনা সভা ও মিলাদ শরীফ। বেলা ১২টা, বাদ আছর ও বাদ এশা পাক রওজা শরীফে চাঁদর পেশ। রাত্র ১১.০০ টা হতে ভোর ৪.৩০ পর্যন্ত হজরত রছুলে করীম (সা.) ও আউলিয়াগণের জীবনাদর্শ সম্পর্কে আলোচনা। ভোর ৪.৩০ হতে সকাল ৬.৩০ পর্যন্ত তাহাজ্জদ নামাজ, ফজরের নামাজ ও মোনাজাত।
২৭ মাঘ, ১০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার :
বাদ ফজর হতে সকাল ১০.০০ টা পর্যন্ত পাক রওজা শরীফে খতমে কোরান মজিদ, মিলাদ শরীফ ও কুতুবুল আকতাব হাজী হাফেজ হজরত সৈয়দ ওয়ারেছ আলী শাহ (রহ.) এঁর রুহের উপর ছওয়াব রেছানী এবং পীর কেবলা হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এঁর আত্বীয়-স্বজন ও ভক্তবৃন্দের রুহের মাগফেরাত কামনা ও আলোচনা সভা। বেলা ১১.৩০ টা, বাদ আছর ও বাদ এশা পাক রওজা শরীফে চাঁদর পেশ। বিকাল ০৩.৩০টা হতে ভোর ৪.৩০ পর্যন্ত হজরত রছুলে করীম (সা.) ও আউলিয়াগণের জীবনাদর্শ সম্পর্কে আলোচনা ভোর ৪.৩০ হতে সকাল ৬.৩০ পর্যন্ত তাহাজ্জদ নামাজ, ফজরের নামাজ ও মোনাজাত। বি: দ্র: দুপুর ১ টা হতে বেলা ৩টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের মাঝে রান্না তাবারুক পরিবেশন করা হবে।
২৮ মাঘ, ১১ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার: বাদ ফজর হতে সকাল ১০টা পর্যন্ত পাক রওজা শরীফে খতমে কোরান মজিদ, মিলাদ শরীফ ও হজরত শাহছুফী খানবাহাদুর আহছানউল্লা (রহ.) এঁর পাক রুহের উপর ছওয়াব রেছানী, বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়ার অনুষ্ঠান ও আখেরী মোনাজাত। আখেরী মোনাজাতের পূর্বে সরকারি চাঁদর পেশ। বেলা ১০.৩০ হতে বেলা ১২.৩০ পর্যন্ত শুধুমাত্র নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সদস্যদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের বার্ষিক সাধারণ সভা নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় অনুষ্ঠিত হবে।