হাফিজুর রহমান শিমুলঃ অবশেষে অমানবিক অবজ্ঞা, অবহেলা আর বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে নিত্যানন্দের বাড়ি নির্মান ও চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও। এস এস সি পরীক্ষায় এ প্লাস প্রাপ্ত নিত্যানন্দ অরফ মন্টু (৩২) কে মস্তিস্ক বিকৃত বানিয়ে শীত বর্ষা আর বৈরী আবহাওয়ায় রাখা হয়েছে ঘরে পিছে অনেকটা পরিত্যাক্ত যায়গায়। এভাবেই তার কেটেছে ১৮টি বছর। সে কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের রথখোলায় রঞ্জন সরাদারের বড় পুত্র।
বলা হচ্ছে মন্টু সরদারের মাথার সমস্যা। অথচ এই মন্টু বিশ্বাস এস এস সিতে এ প্লাস প্রাপ্ত ছাত্র। তবে বিভিন্ন ধরণের গুঞ্জন আছে পাগল হওয়ার পিছে। পারিবারিক বিষয় সম্পতি সহ নানান হিসেবের জটিলতায় মন্টু স্বাভাবিক জীবন অবরুদ্ধ হয়ে গেছে এটা অনেকটা পরিস্কার। যেটা সংবাদ পত্রসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারবেন। এদিকে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় নিত্যানন্দের হালচিত্রের বাস্তব অবস্থা দেখতে আসেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল, উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ গনমান্য ব্যাক্তিবর্গ। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউএনও নিত্যানন্দের ও তার একমাত্র বোন অনিমা সরদারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে গৃহ নির্মান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। কিন্ত তাৎক্ষনিক নিত্যানন্দের থাকার জন্য শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) প্রাথমিক পর্যায়ে টিনশেডের ঘর ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র প্রদানের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেনকে নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও।
বন্দীদশা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে তো চায় সকলেই। স্থানীয়দের দাবী মন্টু বিশ্বাস অবরুদ্ধ জীবন থেকে অালো বাতাসের মুখ দেখুক। সুস্থ্য হয়ে আবারও তারুণ্যে উদ্দীপ্ত হয়ে নতুন করে জীবন শুরু করুক সে এই প্রত্যাশা সচেতনদের।