করোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার ৩১ হাজার ৫শটি পরিবারকে সহায়তার জন্য সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্হপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে
৩১৫ মেট্রিক টন চাল ও ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা: করোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার ৩১ হাজার ৫শটি পরিবারের জন্য ৩১৫ মেট্রিক টন চাল ও ১২ লাখ ৭৫ হাজার হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার মেয়রগণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করে এই ত্রাণ সহায়তা কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৪৩ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫শ টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ৩৭ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, তালা উপজেলায় ৩৭ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আশাশুনি উপজেলায় ৩৭ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, দেবহাটা উপজেলায় ৩২ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৩৭ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫শ টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় ৩৭ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সাতক্ষীরা পৌরসভায় ৩৭ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং কলারোয়া পৌরসভায় ১৮ মেট্রিক টন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, করোনো সংক্রমণ রোধে বাড়িতে অবস্থান করে সামাজিক দূরত্ব তৈরির বিকল্প নেই। এজন্য কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে খাওয়া দিনমজুর ভ্যান-রিক্সা চালক, চায়ের দোকানদারসহ দুস্থদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে জেলার ৩১ হাজার ৫শটি পরিবারের জন্য ৩১৫ মেট্রিক টন চাল ও ১২ লাখ ৭৫ হাজার হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার মেয়রগণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করে এই ত্রাণ সহায়তা কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন।
Dc মোস্তফা কামাল বলেন, সরকার সাধ্যমত খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। করোনো মোকাবেলায় সকলে বাড়িতে অবস্থান করুন।