ভোলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরানের বিরুদ্ধে। পূর্ব বিরোধের সূত্র ধরে খায়েশ মেটাতেই এমন কাজ করছেন বলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম অভিযোগ করেন।
রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ভোলার খেয়া ঘাট নামক জায়গায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি করে প্রশাসনের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করে প্রশাসনের সকল প্রকার সংবাদ বর্জন করা হবে।
জানা যায়, ওই ম্যাজিস্ট্রেট ভোলা (শিক্ষানবিশ) সহকারী কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।
লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিকরা জানান, তারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করা ভাইরাস করানোর (কোভিড-১৯) মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বরিশাল হয়ে ট্রলার ও স্পিডবোটে করে ভোলার ভেদুরিয়া দিয়ে লোক ভোলায় প্রবেশ করছে এমন তথ্য পেয়ে নিউজ কাভারেজ করে ভোলায় ফিরে আসার পথে ভোলা খেয়া ঘাট নামক জায়গায় তাদের মোটরসাইকেল দাঁড় করায় ওই ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় তারা গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান। পরে মোটরসাইকেলে দুজন থাকায় তাদেরকে মোটা অঙ্কের টাকা ও জেল দেওয়ার হুমকি দেন। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকরা তাদের অফিসে ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এবিষয়ে ফোন দিতে চাইলে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হন এবং ওই সাংবাদিকদের মামলা দেন। যাঁর নং-২০২০, ধারা ২৬৯।
আইনী ধারায় এই ধারা হলো মোটরযান বেপরোয়া চালানোর অপরাধ। অথচ ওই সংবাদকর্মী জানান তিনি তখন মোটরসাইকেল ২০ গতিতে চালিয়েছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নেও কিছুদিন আগে এক সংবাদকর্মী ম্যাজিস্ট্রেটের ছবি তোলায় তাকে পুলিশ দিয়ে মারধর করেন।
এবিষয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক বিএমএসএফকে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।