অনলাইন ডেস্কঃ
“হ্যালো, আপনি রংপুরের এসপি বিপ্লব সরকার” উত্তরে ”জ্বি” বলতেই গৃহবধূর কান্নার শব্দ। কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিজের অভাবের কথা জানিয়ে ওই গৃহবধূ বললেন, ”আমারা অভাবী ছিলাম না। আমার স্বামীর কাজ নেই। ঘরে টাকা নেই, খাবার নেই। আজকে কিছু না পেলে আমার সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকবো।”
০৮ মে ২০২০ শুক্রবার রংপুর শহরের কামালকাছনা গুঞ্জনমোড় এলাকা থেকে গৃহবধূ পুলিশ সুপার রংপুর মহোদয়কে জানায় তার অভাবে কথা। গৃহবধূর কথা শুনতেই তার কথা শেষ না হতে পুলিশ সুপার রংপুর মহোদয় বললেন, ”কোথায় থাকেন? ঠিকানা দিন। কোন চিন্তা করবেন না”প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় রংপুরে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মধ্যে যে কেউ ফোন দিলেই তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর আইকন, বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, রংপুর জেলা পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক, মানবিক পুলিশ সুপার জনাব বিপ্লব কুমার সরকার।
পুলিশ সুপার রংপুর মহোদয় আরো বলেন তারা ‘মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত অনেকেই খাদ্য সংকটে পড়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। আমরা সাধ্যমত আপনাদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি। আমাদের রংপুর জেলার আটটি থানার আওতাধীন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত কোন পরিবার যদি খাদ্য সংকটে পড়েন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা যাচাই পূর্বক আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব। আপনারা আমাদের ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করতে পারেন।
রংপুর শহরের কামালকাছনা গুঞ্জনমোড় এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে রংপুর জেলা পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক, মানবিক পুলিশ সুপার এর পাঠানো উপহার (খাদ্য সামগ্রী) বিতরণ করেন রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন।
খাদ্যসামগ্রী পেয়ে পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরুপ ধারণা থাকলেও রংপুরের পুলিশ সুপার তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের লালন নীতিতে কাজ করে তিনি সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই তিনি কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।