শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার মূল কথা হচ্ছে, সব মানুষ প্রয়োজনের সময় মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা পাবে। চিকিৎসাসেবা কিনতে গিয়ে কেউ দরিদ্র হয়ে পড়বে না।১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই বছরই জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়, ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল এই সংগঠন আইন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিপাদ্যের আলোকে বাংলাদেশও দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটি উদযাপনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেমিনার আয়োজন, স্যুভেনির প্রকাশ, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদর্শনী, জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, জারীগান ইত্যাদি।শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। দেশের সব জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তত্বাবধানে স্থানীয় পর্যায়েও বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, ‘বর্তমানে ক্যান্সার, কিডনিরোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা অসংক্রামক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব রোগ প্রতিরোধে মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।’বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনসাধারণের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের দায়িত্ববোধ বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণএবং সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।