আমি শারমীন সুলতানা মিতু,আমি একজন কলম সৈনিক।
সমাজের সচেতন মহল ও আমার সহকর্মী ও সহযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে আমার এই খোলা চিঠি।
আমি একজন কলম যোদ্ধা এটাই আমার অপরাধ।
আমার অপরাধ আমি অন্যায়ের সাথে আপোষ করে নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করতে পারিনা।
২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একটি কুচক্রী মহল একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করে বিফল হয়েছে।
বর্তমানেও ৩ টা মিথ্যা চাঁদাবাজি ও মানহানি মামলার আসামি হয়ে প্রতিমাসে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে হাজিরা দিতে।কারণ আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার কলম দিয়ে সত্য প্রকাশ করেছি।
সাংবাদিকতার আকর্ষণ থেকে আমি কখনই বের হতে পারি নাই।
কারণ,
সাংবাদিকতা আমার রক্তের সাথে মিশে আছে।
একটা প্রশ্ন সবসময় আমি নিজেকে করি, করি অন্য সাংবাদিকদেরও। অনেকেই অনেক কথা বলেন। তবে আমার ব্যাক্তিগত অভিমত হলো, সাংবাদিকতা যতোটা না পেশা তার চেয়ে অনেক বেশি নেশা, ভালোলাগা ও ভালোবাসার মাধ্যম। এই নেশাটা হচ্ছে দেশের জন্য, মানুষের জন্য কিছু করার নেশা। আমার মনে হয়, একজন চিকিৎসক যেভাবে মানুষের সেবা করতে পারেন তার চেয়ে অনেক বেশি সেবা করতে পারেন একজন সাংবাদিক। কোন সাংবাদিকের এই নেশা কেটে গেলে তিনি তখন যতোটা না সাংবাদিক থাকেন তার চেয়ে বেশি চাকুরিজীবী।
আবারো বলছি-সাংবাদিকতা কোন চাকুরি নয়, এটি এক ধরনের ভালোলাগা, এক ধরনের নেশা। এ নেশা ভালো কিছু করার। পৃথিবীর আর কোন পেশাতেই এতো স্বাধীনতা ও মানুষের জন্য কিছু করার এমন সুযোগ আর পাওয়া যাবে না। আর তাই সাংবাদিকতা ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পুলিশ কিংবা প্রশাসনের বড় কর্তা হওয়ার পরেও কারো কারো এই পেশার প্রতি টান থেকে যায় আর তারা সব ছেড়ে আবারো ফিরে আসে সাংবাদিকতায়। আমি জানি এই নেশা কতোটা তীব্র। আর সে কারণেই আমি আজীবন সাংবাদিক থাকতে চাই। চাই নেশাটা থাকুক আজীবন আর এই নেশা ছড়িয়ে পড়ুক সব সাংবাদিকের মধ্যে।
আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কতিপয় ভূইফোড় সাংবাদিকরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইতিপূর্বে আমার ফেসবুক আইডি থেকে একটা পোস্ট করে জানিয়ে ছিলাম যে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার এক সাংবাদিক দম্পতি আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার করে।
২০০৪ সালে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে HSC তে ভর্তি হই তেজগাঁও কলেজে। তখন থেকেই একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় লেখালেখি করা শুরু করি আমার থেকে দুই ব্যাচ সিনিয়র বড় ভাই কামরুল ভাইয়ের হাত ধরে।
ছয় মাস সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করার পর সুযোগ পাই দৈনিক পত্রিকায় কাজ করার।
একে একে অনেক পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।
অনেক সিনিয়র সাংবাদিক বড় ভাইদের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে।তার মধ্যে একজনের কথা না বললেই নয়।সে হচ্ছে আমার সাংবাদিকতা পেশার গুরু আমার পিতৃ সমতুল্য এক বড় ভাই শিবলী সাদিক খান।
যার শিক্ষা অনুপ্রেরণায় আমি শারমীন সুলতানা মিতু আজও সাংবাদিকতা পেশায় টিকে আছি।
যার যে কোন কথাই আমি আদেশ মনে করে মেনে চলি।
অতপর হাঁটি হাঁটি পথ চলা। জীবনে অনেক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে। অনেকে হুমকি দিয়েছে। মিথ্যা মামলা করেছে। বর্তমানেও অনেক ত্যাগ তিক্ত মাধ্যমে নানান চড়াই-উৎরাই পার হয়ে যখন এখনো টিকে আছি, তখনই স্বার্থ চরিতার্থ করার হীন চক্রান্তে মেতে উঠে কতিপয় সাংবাদিক নামধারী একটি কুচক্রী মহল।
এই মহৎ পেশা সাংবাদিকতা থেকে দূরে রাখতে পারেনি আমাকে। কারণ, সাংবাদিকতা আমার নেশা। আমার পারিবারিক অবস্থা আল্লাহর রহমতে ভালো। আমাকে সংসার চালাতে কারো কাছে হাত পাততে হয় না। কাউকে প্রতারণাও করতে হয় না।
বর্তমানে আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কারণ আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। প্রতিবাদী কন্ঠস্বর সমাজ সেবার নামে হাইব্রিড নেতাদের দুর্নীতি, ইয়াবা, ফেন্সিডিল সকল মাদক ব্যবসায়ী, অনিয়ম-দুর্নীতিসহ সমাজের জঘন্যতম ব্যাক্তিদের। আমি কোনদিন কাউকে হুমকি দিয়ে একটি পয়সাও হারাম খাইনি। যায়নি কোন দিন বালু মহলে ধান্দা করতে। তবে আমার লেখা সত্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে অনেকের চোখের বালি হয়েছি।
তারপরেও কেন আমার বিরুদ্ধে এত ষড়যন্ত্র? সর্বশেষ আমার গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল আইডি, ফেসবুক হ্যাক করে আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে। আমি মহান আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখি। তার উপর আস্থা রয়েছে। যারা আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে একদিন তারা নিজেদের ক্ষতি করবে। অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করি নাই আর করবোও না।
আমি আইনি প্রক্রিয়ায় ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করব। কারণ, দেশের সুনাগরিক ও জাতির বিবেক হিসাবে আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সবাই আমাকে দোয়া ও সহযোগিতা করবেন। পাশেও থাকবেন এ প্রত্যাশা রইল ।