জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সারা দেশে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর স্লোগান “মুজিববর্ষের আহ্বান ৩ টি করে গাছ লাগান”। মুজিব শতবর্ষ উদযাপন হিসেবে ১ কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র এই তিন মাস কমপক্ষে ৩টি গাছ; যার মধ্যে ফলদ, বনজ ও ভেষজ প্রজাতির গাছ লাগানোর কথা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখার বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক সাদ মাহমুদ জয়ের উদ্যোগে আজ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ বয়েজ হোস্টেলে ভেষজ, ফলদ ও বনজ উদ্ভিদের চারা রোপন করা হয়।
বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী সম্পর্কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ মাহমুদ জয় বলেন,
“মানবজীবনে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা সীমাহীন। বৃক্ষহীন পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। তাই সৃষ্টির আদিকাল থেকেই মানুষের জীবন ছিল অরণ্যনির্ভর। এখনও জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বৃক্ষ আমাদের নানা কাজে লাগে। দেশের অর্থনীতিতেও রয়েছে বনাঞ্চলের অপরিসীম ভূমিকা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের করাল গ্রাস থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে বৃক্ষ রোপনের কোন বিকল্প নেই।
মুজিববর্ষে সবাইকে কমপক্ষে ৩ টি করে গাছ লাগানোর উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি পরিবেশ সুরক্ষা কল্পে অধিক হারে বৃক্ষ রোপনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
আর এ কথাটিও অনস্বীকার্য যে, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য বনভূমির সুরক্ষণ ও বৃদ্ধি করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। তাই বৃক্ষরাজি তথা বনভূমির যথাযথ সংরক্ষণের জন্য আমাদের সকলেরই সচেতন হওয়া একান্ত আবশ্যক। এ প্রেক্ষাপটে বৃক্ষের চারা সংগ্রহ ও রোপনের অভিযান চালিয়ে বাড়ির আঙিনায়, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের চারপাশে ও রাস্তার দু’ধারে গাছ লাগিয়ে বনায়ন কর্মসূচিকে সফল করে তোলার জন্য আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সকলকেই এক যোগে এগিয়ে আসার কোন বিকল্প নেই।
মমতাময়ী দেশরত্ন শেখ হাসিনার এ অমূল্য আহ্বানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ভাই ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদার নির্দেশে, ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক জননেতা মোহিত উর রহমান শান্ত ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সরকার মোঃ সব্যসাচী ভাইয়ের দিক নির্দেশনায় ও ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামীলীগ এর স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. দেবাশীষ মন্ডল দাদার সার্বিক সহযোগিতায় আমরা এ কার্যক্রম মাসব্যাপী অব্যাহত রাখবো।”