নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩৮ টি পরিবার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া পাকা ঘর। দারিদ্রসীমার নিচে বাস করা এসব পরিবার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নতুন পাকা ঘর পেয়ে এখন তারা মহাখুশি। তাদের চোখে মুখে বইছে আনন্দের ঝিলিক।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৩৮ টি পরিবারের জন্য এক কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। প্রতিটি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয় ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ ৯ টি ইউনিয়নের অসহায় দরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্ত, পুনর্বাসিত ভিক্ষুক এবং যার জমি আছে ঘর নেই এমন মানুষকে শনাক্ত করে এসব ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন।
পুটিমারী ইউনিয়নের ভেড়ভেড়ী মাস্টারপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি ১২ শতক খাস জমিতে জান্নাতী বেগম নামে এক অসহায় নারীর জন্য ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।
জান্নাতী বেগম বলেন, ‘আমরা খুবই গরীব। আমি ও আমার স্বামীসহ তিন সন্তানকে নিয়ে অন্যের জমিতে অনেক কষ্ট করে বসবাস করতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারিভাবে ঘর প্রদান করছেন এ খবর পেয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের সাথে দেখা করে একটি ঘরের জন্য আবেদন করি। তিনি নিজে আমার বাড়িতে এসে আমার করুণ দশা দেখে সরকারি ১২ শতক খাস জমি আমার নামে বরাদ্দ দেন এবং সেই জমিতে আমাকে ঘর নির্মাণ করে দেন। আমি কোনদিন ভাবতেও পারিনি স্বামী-সন্তান নিয়ে পাকা বাড়িতে থাকব। আমি প্রতিদিন নামাজে বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের জন্য দোয়া করছি।
এরকম অসহায় দরিদ্র বাহাগিলি ইউনিয়নের ছলি মামুদের স্ত্রী রোকসানা বেগম, বড়ভিটা ইউনিয়নের খয়ের উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন, চাঁদখানা উইনিয়নের আব্দুর রহিমের স্ত্রী ফেরোজা বেগমসহ সকলেই থাকার জায়গা পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া কামনা করেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু হাসনাত সরকার বলেন, ‘উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ৩৮ জন উপকারভোগীর ঘর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। প্রতি উপকারভোগীর জন্য দুইটি করে রুম (থাকার ঘর), একটি রান্নাঘর ও একটি করে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মাণ করা হয়।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এই প্রকল্পটির প্রতি আমাদের বিশেষ নজরদারি ছিল। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে।’