এই অবস্থায় বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে আরও শক্ত করতে রাজনীতির ময়দানে নামলেন বাউল শিল্পী কার্তিক দাস, লক্ষ্মণ দাস, ডাক্তার বাদল অশ্রু ঘাটা এবং উদ্যোগপতি সন্দীপ ভারতীয়ারা। বুধবার তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মহাসচিব পার্থ চট্টপাধ্যায়। বিভিন্ন পেশা থেকে আশা এই সমস্ত মানুষকে বিভিন্ন কাজে লাগানো হবে। এমনটাই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এর আগে সমস্ত রাজনৈতিক নেতারা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। এদিন যারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাউল শিল্পী কার্তিক দাস ও লক্ষ্ণণ দাস। তেমনই আছেন চিকিৎসক বাদল অশ্রু ঘাটা। রানিগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্সের সন্দীপ ভারতীয়াও এদিন ঘাসফুল পতাকা তুলে নেন।
সমাজের এই বিশিষ্ট জনেদের দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টপাধ্যায়ত বলেন, বিজেপির ধর্মাশ্রয়ী ও হিংসাত্মক রাজনীতির বিরুদ্ধে বাংলার চিরন্তন ঐতিহ্যকে মজবুতভাবে তুলে ধরতে মমতা বন্দ্যপাধযায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজনীতির ময়দানে পা রাখছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
পার্থবাবু বলেন, এই ৪ জন সরাসরি দলনেত্রীর কাছে দলে যোগদানের আবেদন করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে অনুমোদন দিয়েছেন।
বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। আর তার সাগে সংগঠনকে মজবুত করতে নেমেছে শাসকদল তৃণমূল। একের পর এক জেলায় বিজেপিতে ভাঙন ধরাচ্ছে তৃণমূল। আর তা জারি রেখেই গত কয়েকদিন আগে বঙ্গ-বিজেপিতে ভাঙন ধরায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলে যোগ দেয় বিজেপি নেতা কৃশানু মিত্র। সোমবার তৃণমূল ভবনে কৃশানু মিত্রের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
এর আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিপ্লব মিত্র, হুমায়ূন কবীরের মতো নেতারাও। প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই তৃণমূলের ভার্চুয়াল শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘ভুল করে যদি কেউ বিজেপিতে গিয়ে থাকেন, তাহলে তৃণমূলে ফিরে আসুন। কেউ যদি কংগ্রেস বা সিপিএমে গিয়ে থাকেন, তাঁরাও ফিরে আসুন। মানুষের জন্যে যদি কাজ করতে চান, তাহলে তৃণমূলেই একমাত্র সেই সুযোগ পাবেন।’
তৃণমূল নেত্রীর সেই ডাকে বাস্তবেই ব্যাপক সাড়া মিলছে। দেখা যাচ্ছে, একুশে জুলাইয়ের পর থেকেই তৃণমূলে যোগদানের প্রবণতা উত্তোরত্তর বাড়ছে। যে জঙ্গলমহল গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, সেই জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরেও বিগত কয়েক মাসে গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ।
পুরুলিয়ার ঝালদা, বাগমুণ্ডি, রঘুনাথপুরের মতো এলাকা থেকে দলেদলে বিজেপি নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। উত্তরবঙ্গেও বিজেপির শক্ত মাটিতে থাবা বসিয়েছে তৃণমূল।