দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় গাছের বিক্রির টাকার ভাগ চাওয়ায় বড় ভাই ও ভাতিজাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা। আহতদের চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও হামলা চালায় ছোট ভাই ও তার পরিবার।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নবাবগঞ্জের ১নং জয়পুর ইউনিয়নের শিকারপুর (দেবংসীপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা সুধীর মহন্ত (৬৫) ও হৃদয় মহন্ত (৫৫) দুই ভাই। জমিজমা ও গাছপালা ভাগ বন্টন না হওয়াই উভয়ে মিলেমিশে ভোগ করেন পৈত্রিক সম্পত্তি। ৩০শে সেপ্টেম্বর সোমবার ছোট ভাই হৃদয় কাউকে না জানিয়ে পৈতৃক একটি কাঁঠাল ও একটি বড়ই গাছ আট হাজার টাকা মূল্যে বিক্রয় করেন। গাছ বিক্রয়ের কথা জানতে পেরে সুধীর মহন্ত (৬৫) ও তার ছেলে বিনয় মহন্ত (৩৮) বিক্রিত গাছের টাকার ভাগ চাইতে যান। এতে বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে ছোট ভাই হৃদয় মহন্ত (৫৫), তার স্ত্রী বেলী মহন্ত (৪৫), ছেলে ছোটন মহন্ত (২৫) ও মেয়ে তমা মহন্ত (২০) কুড়াল,দা,রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন সুধীর মহন্ত ও তার ছেলে বিনয় মহন্তের উপর। কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে গুরুতর আহত হন সুধির মহন্ত,বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে বিনয় মহন্তর উপরও হামলা করে তাকেও আহত করেন তারা।পরে তাদের উভয়কে রক্তাক্ত ও মুমুর্ষ অবস্থায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে প্রবেশের সাথে সাথে সেখানেও হাজির হন হামলাকারী হৃদয় ও তার পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে এসে আরেক দফা হামলা চালায় আহতদের সাথে আসা লোকজনের উপর।এতে সুধীর মহন্তের ছোট ছেলে রিপন মহন্ত (৩০)এর নাক ফেটে রক্তাক্ত হয়। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের নিভৃত করেন।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে উভয়কে শান্ত থেকে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়,সুধীর মহন্ত ও বিনয় মহন্ত পাশাপাশি শয্যায় চিকিৎসাধীন আছেন।সুধীর মহন্তের ছোট ছেলে রিপন মহন্ত (৩০) জানান, তার বড় ভাই বিনয় মহন্তের মাথায় কুড়াল দিয়ে কোপ দেয়ায় ১৮টি সেলাই পড়েছে। বাবার মাথা ও হাতে দা ও কুড়াল দিয়ে কোপ দিয়েছে। হাসপাতালে এসেও হামলা করেছে তারা,বাড়িতে গেলে আমাদের তারা আরও কী করবে তা নিয়ে চিন্তায় আছি।
আইনি জটিলতায় ফেলতে হৃদয় মহন্তর সপরিবাও হাসপাতালে ডাক্তারী সার্টিফিকেটের জন্যও দৌঁড়ঝাঁপ করছে বলেও জানান তিনি।