বিশেষ প্রতিনিধি (তরিকুল ইসলাম লাভলু): খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ভোট গণনায় মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯শ’ ২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯শ’ ৫৬ ভোট। তবে এখনো খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে নির্বাচন কমিশন স্থাপিত অস্থায়ী ঘোষণা কেন্দ্র থেকে কোনো ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। মোট ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর একটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন খালেক অন্যটিতে মঞ্জু।
দিনভর কয়েকটি কেন্দ্রে নানা কেন্দ্র দখল অনিয়ম, অভিযোগ, ব্যালট পেপারে জোরপূর্বক সিল মারার ঘটনা ঘটেছে। আবার সুষ্ঠু ভোটও হয়েছে অনেক কেন্দ্রে। খুলনা আ’লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, ভোট ভালো হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী বলেন, অন্তত ৪০টি কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। জাল ভোটের অভিযোগে একটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল, দুটি কেন্দ্র এবং একটি বুথে ভোট স্থগিত করা হয়। এর বাইরে একটি কেন্দ্রের অদূরে বিএনপির নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়েছে। ২৪ নং ওয়ার্ডের সরকারি ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করে দেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। নৌকা প্রতীকে সিল মারার ঘটনায় এছাড়া রূপসা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও রূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ভোট স্থগিত হয়। জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে চারটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দুপুরে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লবণচোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা মার্কায় সিল মারার অভিযোগে কেন্দ্রটিতে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতিমা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি বুথে স্থগিত করা হয় ভোট। সেখানেও নৌকা মার্কায় সিল মারা হচ্ছিল ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আব্দুল মালেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রেও জাল ভোট দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।