হাজিয়া বেবি বিনতে বাছেদ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে প্রকাশ্য দিবালোকে সর্ব সাধারনের সামনে মোখলেছুর রহমান (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে তার প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান হবির পুত্র কামাল মিয়া (৩০)।গত ১৭ মার্চ বিকেলে নবীনগর থানা গেইটের পাশে ও পৌরসভার সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে রক্তাক্ত ছুরিসহ কামাল মিয়াকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে নবীনগর থানা পুলিশ। পরদিন ১৮ মার্চ মোখলেছুর রহমানের ছেলে মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে কামাল মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ১/২কে আসামী একটি মামলা দায়ের করেন।হাবিবুর রহমান হবির পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত মোখলেছুর রহমান ও তার পরিবারকে এখন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।এদিকে পৌর এলাকার মাঝিকাড়া গ্রামের শাহিন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া, সিএনজি চালক মোঃ রমজান মিয়ার ছেলে মোঃ রনি গত ৩০ মার্চ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজত থেকে জামিনে বের হয়ে আসে।জামিনে বের হয়ে রনি জানান, জেলখানায় অবস্থানকালে দুর্ধর্ষ কামাল তাকে অস্ত্র কিনে দেয়ার কথা বলে এবং সেই অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত মোখলেছুর রহমানকে হত্যা করতে পারবে কিনা জানতে চাইলে রনি অপারগতা প্রকাশ করে। এ ঘটনায় বর্তমানে কিছুটা সুস্থ হয়ে মোখলেছুর রহমান বাড়িতে আসলেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। আবার কখন তার এবং তার পরিবারের উপর হামলা হয়।এ ব্যাপারে মোখলেছুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজন নবীনগর থানা পুলিশসহ জেলা পুলিশ সুপারের বরাবরে সার্বিক নিরাপত্তা প্রার্থনা করে দুর্ধর্ষ কামাল মিয়াসহ মামলার অন্যান্য আসামীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রশিদ জানান, মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে দ্রুত এই মামলার চার্জশিট বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।উল্লেখ্য পৌর শহরের নারায়নপুর ডি এস কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় মোখলেছুর রহমান ও হাবিবুর রহমান হবির পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় দুই পরিবারের মাঝে জমিজমাসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি একটি বৈদ্যুতিক খুটিকে কেন্দ্র করে গত ১৭ মার্চ হাবিবুর রহমান হবির পুত্র কামাল মিয়ার উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন মোখলেছুর রহমান।