শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
গণমাধ্যমের অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় সভা আয়োজনসহ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জনাব বাহারুল আলম নতুন সিইসি নাসির উদ্দীনের পরিচয় কালিগঞ্জে আছিয়া লুতফর প্রিপারেটরি স্কুলে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত সলেমান মামুন ব্যারিস্টার সুমন দুই দিনের রিমান্ডে ডিএমপির ৩৮তম পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা আলেমরাই এক দিন এদেশে নেতৃত্ব দেবেন।।ধর্ম উপদেষ্টা কে এই নতুন ডিএমপি কমিশনার? দৌলতপুরে বসতবাড়িতে ডাকাতির সময় মা-ছেলেকে হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

‘গুরুপরম্পরা’ পাঠ পরবর্তী বয়ান- তৌফিক জহুর

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১, ১১.৪৩ এএম
  • ৩২৮ বার পঠিত

একজন কবির দু-চারটে কবিতা পাঠ করলেই কবি সম্বন্ধে বোঝা যায়না। কবিকে বুঝতে হলে অন্তত কবির একটা কাব্য গ্রন্থ পুরোটা পাঠ করতে হয় গভীর মনোযোগ সহকারে। ২০২০ এর বইমেলায় যাঁদের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, বই উপহার পেয়েছি, কবি নাজমীন মর্তুজা তাঁদের একজন। আমি পাঠ শেষে চেষ্টা করছি বই নিয়ে কথা বলতে। কবি নাজমীন মর্তুজার ‘ গুরুপরম্পরা ‘ কাব্যগ্রন্থ প্রথম প্রকাশিত হয়েছে ২০১০ সালে। সে অর্থে বারো বছর পর কাব্য গ্রন্থটি আমার কাছে পৌঁছেছে।

কিছু বিষয়ে নজরঃ
এদেশে প্রচলিত সূফীতত্ত্ব, বৈষ্ণবতত্ত্ব,বাউলতত্ত্ব সহ ইত্যাকার সব তত্ত্বেই গুরুপরম্পরার কথা এসেছে। এদেশের মানুষের শিক্ষাপদ্ধতির মূলরূপ যেমন গুরুমুখী,তেমনি জীবন সাধনা আধ্যাত্ম জ্ঞান এমনকি ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গেও গুরুপরম্পরার ভাবাদর্শ যুক্ত আছে। এদেশের মানুষের পূর্ণাঙ্গ জীবনকাঠামোতে তিন ধরণের গুরু চরিত্র খুঁজে পাওয়া যায়। এক, শিক্ষা গুরু, দুই, দীক্ষা গুরু, তিন, ভাবের গুরু। এই তিন ধরনের গুরুর আশ্রয় ব্যতিরেকে মনুষ্য জীবনের অর্থ বোঝা দায়। গুরুবাদী চর্চায় সাধিকা ও সাধনসঙ্গিনীর কথা উল্লেখিত হয়। আধুনিক কবিতায় এর প্রকাশ খুব জমজমাট ভাবে দেখা না গেলেও নাজমীন মর্তুজার কাব্য গ্রন্থ পাঠ করে বুঝলাম, তিনি এই গুরু বন্দনার দুয়ার খুলেছেন। অন্তর্গত গুরু বন্দনায় তিনি মেতে উঠেছেন কবিতা থেকে কবিতায়। এই নিয়ে আমরা আরো সামনের দিকে অগ্রসর হবো।
গুরুপরম্পরা প্রাসাদে ঢুকছি আমরাঃ

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত প্রসঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ” মধুসূদন, হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, ইহারা সকলেই এ কবিত্বে তাঁহার অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। প্রাচীনেরাও তাঁহার অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। ভারতচন্দ্রের ন্যায় হীরামালিনী গড়িবার তাঁহার ক্ষমতা ছিলনা; কাশীরামের মতো সুভদ্রাহরণ কি শ্রীবৎস চিন্তা, কীর্তিবাসের মতো তরণীসেন বধ, মুকুন্দরামের মতো ফুল্লরা গড়িতে পারিতেন না। বৈষ্ণব কবিদের মতো বীণায় ঝন্কার দিতে জানিতেন না।”( শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ, প্রথম খন্ড, বন্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, পৃষ্ঠা ৩৫)। আমি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত বিষয়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই উদ্ধৃতি দিলাম শেষের লাইনটা বলার জন্য। বৈষ্ণব কবিদের বীণায় ঝন্কার উঠতো। এই বাক্যটি সঙ্গে নিয়ে আমরা নাজমীন মর্তুজার গুরুপরম্পরা প্রাসাদে এসেছি। তাঁর কবিতার পাতায় পাতায় পরিচ্ছন্ন, সুশৃঙ্খল,ভঙিপ্রধান ও ভক্তিরস ছড়িয়ে আছে। ভক্তির এমন সুন্দর প্রেমবোধ আমাদেরকে করেছে কল্লোলিত ও প্রোজ্জ্বল। আমরা তিনটি কবিতার কিছু অংশ লক্ষ্য করিঃ

১. গুরু, তোমার আমার সৃষ্টির বয়ানকার্য চলছে-অতিসুচারু রূপে-জীবনের স্বাদ নিতে নিতে। এই যে তুমি আমি, আমি-তুমি মিলে আমরা পরস্পরকে আঁকড়ে ধরে ঢুকে পড়ছি ইহজাগতিক সবুজ বনের পথে।
গুরু,কখনো আছো প্রেরণায়- কখনও দিনযাপনের সঙ্গী হয়ে। নিষ্ঠুর এই ভাঙা সময়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে -স্বপ্ন দেখাও সাদাকালো জীবনের,তোমাকে একান্তে পেয়ে রক্তিম আভায় জ্বলে উঠলো মরুময় হৃদয় সাহারা, প্রাণ পেলো ভাস্কর্য আর মাতৃজঠরে শিশু। (বয়নকার্য, পৃষ্ঠা ১১)

২. কুসুমের সুবাসে শুয়ে আছো গুরু-জাগতিক অস্তিত্বের অন্তরালে। আজ যেনো কোনো পৌরাণিক দেরতা এসে আলিঙ্গন করলেন দেবীকে।তাই বুঝি দুহাতে শিশির ছড়িয়ে হেঁটে আসছে সুখগুলো- একপ্রান্ত থেকে মধ্যবিন্দুর দিকে- চেতনার গভীরে। আমি রোজ রূপকথার নারীর মতো কেশগুচ্ছে জোনাকিফুল গুঁজে শরীরে মাটি আর ঘাসের গন্ধ মেখে গুরুর আগমনে অভিবাদন জানাই এবং সারা শরীর জুড়ে উপভোগ করি ভয়ন্কর – ভালোলাগা ভয়াল- সুন্দর অনুভূতি। (গুরুসঙ্গ, পৃষ্ঠা ২৪)

৩.কতো মণি পাঠিয়েছো গুরু/ আমার নিচু গ্রামদেশে/ পূর্ণ করেছো ফসলের বনোভূমি / এতোদিন যে হ্রদে জেগেছে কেবল পাথর/ তোমারি ছোঁয়ায় আজ/উত্থিত হলো পানি/ আমি নতুন করে তোমার নাম দিলাম কল্লোল/আমি হলাম স্রোতস্বিনী / আমার ক্ষীর সাগর এবার ভরবে তোমার নোনা জলে/ দিকে দিকে নব উদ্যমে জন্ম নিবে প্রাণ/ সরল বিশ্বাসে আমি বুনে দেবো জ্ঞানবৃক্ষ/ নিজস্ব নিয়মে/ ফুটবে ফুল/ সবুজ তারার মতো সহজ উজ্জ্বল / গুরু তোমার দানে/ বেঁচে থাকবে আজীবন সন্ন্যাসী পানকৌড়ি / একফোঁটা সাগর কুসুমের জলে (জ্ঞান, পৃষ্ঠা ২৭)

সরল ভাষাতেই ঐশ্বর্যে দ্যুতিময় ও ইন্দিয়বিলাসে ভরপুর কবিতাগুলো। যা প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর এক আনন্দময় উপস্থিতি। কবিতাগুলোর বিবরণ সুক্ষ্ম ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সরল কিন্তু মার্জিত। কবিতায় আতিশয্য নেই, লম্বা যৌগিক শব্দ, অলংকার বাহুল্য আর কৃত্রিম শ্লেষ থেকেও মুক্ত। যে কারণে পড়ার সময় একটা অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করে। কথোপকথনের ক্লাসিক মুহূর্ত মনে হয় নিজের সামনেই ঘটছে। সূফীবাদের দিকে আমাদের টেনে নিয়ে যায় নাজমীন মর্তুজার কবিতা। সৃষ্টি রহস্যের গণ্ডি টপকাতে তিনি শব্দ দিয়ে নির্মাণ করেছেন কবিতা। তিন নং উদাহরণে কবি কথা বলছেন, সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে। প্রচলিত ও বাস্তবতার মধ্যে কল্পনাপ্রতিভার সর্বোত্তম ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে সর্বজনীন ও চিরকালীন অনুভবের প্রকাশ ঘটিয়েছেন কবিতায়।

গুরুপরম্পরা কাব্য গ্রন্থে আধ্যাত্মিকতায় যে আশ্রয়ে কবি নিজেকে সমর্পণ করেছেন, তা সচারাচর আধুনিক কবিতায় দেখা যায়না। একটা ঘোরের মধ্যে দিয়ে ক্রমাগত সামনের দিকে এগিয়ে গেছে তাঁর কবিতাগুলো। সমস্ত দ্বন্দের নিরসন ঘটিয়ে আত্মসমর্পণের জায়গাটা কবি বেছে নিয়েছেন প্রাণের সঙ্গে। নাজমীন মর্তুজার কবিতায় আমরা দেখতে পাই, ফুলের ফুলের ডালা সরিয়ে গুরুদীক্ষায় রণসাজ,যেখানে বিধাতাকে তিনি এনেছেন যেখানে যত অচলায়তন আছে সব ভেঙে ফেলতে।কাব্যের আয়তনকে ভাঙলেন নতুন করে গড়ে তুলতে।এটা একটা দুঃসাহসিক কাজ। নতুন ছন্দের দোলায় নয়, সেই আদিকালের বাংলা কবিতার সাম্পানে চেপে ভাষায় প্রখরতার বর্মে নয়,মাধুর্যের চাদরে জড়িয়ে বিষয়বস্তুতে যুক্ত করলেন গতির আনন্দ। গুরুর কাছে নিবেদনে, আত্মসমর্পণে পরিস্ফুটন করলেন নিজের কবিতার চিত্র। যা আমাদের চিনিয়ে দেয় কবির কবিতার সৌন্দর্যের কেন্দ্রস্থল। আমরা কয়েকটি কবিতা লক্ষ্য করিঃ

১.গুরু আমায় বলল/নমুনা হতে হবে তোমায়/আঁকবো তোমার অঙ্গের প্রতিটি ভাঁজের ভাষা/আমি সানন্দে নমুনা হয়ে গুরুর সামনে বসলাম/গুরু বলল/এভাবে কি আত্মা আঁকা যায়/আঁকতে পেরেছে কি কেউ কখনো/আবৃত্তে থাকা দেহ-মন/খুলে ফেলো বৎস জাগতিক বসন/আমি খুলে ফেললাম/গুরু অপলক দৃষ্টি ফেলে আবিষ্কারের নেশায় মত্ত /হঠাৎ বলল/কি আঁকবো বৎস/আত্মা না দেহের গঠন/বলি গুরু, আত্মা আঁকাই শ্রেয়/না থাকে এখানে পুরুষ কিংবা নারীর দেহ (আত্মার মূর্তি, পৃষ্ঠা ৪৮)

২.গুরু বলে দাও/কি রূপে জানিতে পারিব/মানুষের অন্তর্গত জীবন তৃষ্ণা /গাছ প্রজাপতি ঘাসফড়িং জোনাকির সুখ /আমাকে শেখাও গুরু/ জন্মের নিগূঢ় তত্ত্ব /আমি জানতে চাই/লোমকূপের নিচে কি প্রবাহমান / ওই হৃদপিন্ডের ঘড়িটা/গাইছে কিসের গান/আমাকে শেখাও গুরু/ আদিলীলার ভাষা/কিভাবে আনন্দে বসে/ দোল খায় দুটি প্রাণ( জিজ্ঞাসা, পৃষ্ঠা ৪৯)

৩.গুরু বলেছে /আঘাতপ্রাপ্ত ব্যথা থাকেনা দেহমিলনের কালে/শিল্পীর তুলি পূর্ণতা পায় না নগ্নতা না আঁকলে /বহুদিন পরে মানুষেরা জেনেছে/আঘাত বিনা জীবন পোক্ত নয়/স্বপ্ন ভেঙেই জীবনের প্রভাত শুরু হয়
(আঘাত,পৃষ্ঠা ৫৪)।

নাজমীন মর্তুজার গুরুপরম্পরা কাব্যগ্রন্থে একটা ধারাবাহিকতা আছে। প্রবাহমান নদীর স্রোতের মতো, কোথাও স্থির হয়ে নেই দারুণ চলমান। ধ্যানের মধ্যে জ্ঞানের ছত্রচ্ছায়ায় বৃহৎ বিচিত্র বাধাবন্ধনহীন লীলাজগতে নানান আস্বাদনে নিজেকে উপলব্ধি করে তিনি কবিতা লিখেছেন। এই উপলব্ধি এসেছে দর্শন থেকে। যুগে যুগে সকল মহৎ সৃষ্টি হয়েছে কোনো না কোনো উৎস থেকে। অনেক পন্ডিত বিদগ্ধজনেরা এটাকে ধার করাও বলেছেন।যেমন ‘A Key to Modern Poetry’ প্রবন্ধে Lawrence Durrel লিখছেন এভাবে,’ The great Poet always borrows, but he always Pays back with interest ; and his Production is something more thanthe sum of His borrowing ‘….।এই যে দর্শনের চাদরে জড়িয়ে নিজেকে উজাড় করে সৃষ্টি করা এটাই সুদসহ ফেরত। সূফিবাদ নিয়ে নাজমীন মর্তুজা যে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন সেখানে তিনিই প্রথম নন। হাজার বছরের বাংলা সাহিত্যের আঙিনায় বহু দর্শন ও মতবাদ নিয়ে কবিরা লিখেছেন। সার্থক তাঁরাই হয়েছেন,যাদের লেখার সময় ডিঙিয়ে মহাকালের রাজপথে মিশে গেছে। আদিম মানব গোষ্ঠী সূর্য পূরাণ(Sun myth) এর ধারা কবিরা যুগে যুগে জ্ঞাতসারে অথবা অজ্ঞাতসারে বহন করে এনেছেন। সূর্য রাতপর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পরদিন সকালে আবার নবজন্ম লাভ করে। মৃত্যুকে অনিবার্য জেনে আদিম মানব মৃত্যুর মধ্যে আশ্রয় নিয়ে মৃত্যুত্তীর্ন ও পুনরুজ্জীবিত হতে চেয়েছেন।Sun mythগুলি এই চিন্তার প্রতিফলন। সমুদ্রে নৈশযাত্রা(Night journey on the sea) সূর্য পূরাণের একটি প্রধান অঙ্গ। একটা দর্শন এর পুরো বিষয় যখন হৃদয়ে জায়গা করে নেয়,তখন মহৎপ্রাণ হয়ে ওঠে সেই হৃদয়। বিবর্তনের পথেই পরিবর্তন সংঘটিত হয়। কবির দেখার দৃষ্টিতে সেই পরিবর্তনের কবিতা হয়ে ওঠে মহৎ। সৎ কবিতার একটি উদ্দেশ্য হলো চিন্তা ও অনুভবের নতুন পথ সৃষ্টি করা। সেই লক্ষ্যে নাজমীন মর্তুজা গুরুপরম্পরায় নতুন দৃষ্টিতে আদি দর্শন নিয়ে জগৎ ও জীবনকে দেখার জন্য পাঠককে জীবন্তভাষায় যুক্ত করেছেন। এটা বিশিষ্ট কবির স্বভাব। ভাব,দৃষ্টিভঙি ও ভাষার ধ্বনিবৈচিত্র্য নিয়ে তিনি যা সৃষ্টি করেছেন সেটা কাল পেরিয়ে মহাকালের রাজপথে মিশে যাবে, এমনটা আমরা বিশ্বাস করতে চাই। আমরা তাঁর গুরুপরম্পরা কবিতা লক্ষ্য করিঃ

দূর থেকে হেঁটে আসছো গুরু এবং হেঁটে যাচ্ছো দূরে/আমি আছি সাধনসঙ্গিনী -সাধিকা/তোমার পূর্বাপর /তাই তোমার ইতিহাস/ আমি ছাড়া কে লিখতে পারে/তুমি আসছো গুরু/ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিহাসের পথ পাড়ি দিয়ে /তোমার চলার পথে গৌতমবুদ্ধ ছিল/বজ্রযোগিনী গ্রামে তুমিই অতীশ দীপন্করকে শিখিয়েছিলে/প্রজ্ঞাপারমিতার গান,সাধনা ও ধ্যান-জ্ঞান /বিশ্বম্ভর,লালন আর রুমি যে তত্ত্ব বিকাশ করেছিল দেহকে আশ্রয় করে/সেই ভাষা থেকে তুমি ছুটে চলেছো আমাকে সঙ্গে নিয়ে/ এবার পথের ধারে যে নদী ঋতুমতী হয়ে চন্দ্র উদয় করে বিনা আকাশে/সে নদীর নামে/আমার নাম দিয়েছো নারী/আমি সাধিকার মতো তোমার দেহঘরে সাধনার ভাষা দিয়ে ফিরি/প্রতি নিশিতে ও দিবস কুসুমে…/আমি তুমি এক হয়ে গুরুপরম্পরায় দিন গুনি/বৈশাখ থেকে চৈত্র অবধি/ এবার বাংলাশ রাষ্ট্র হোক তবে/ তোমার আমার নতুন জাগরণ।।
(গুরুপরম্পরা, পৃষ্ঠা ৭৭)

আধুনিক বাংলা কবিতায় গুরুপরম্পরা একটা নতুন সংযোজন। মিথ, ঐতিহ্য, ইতিহাসকে সুফিবাদের পথে নিয়ে যাওয়ার যে মুন্সিয়ানা কবি দেখিয়েছেন তা শব্দের অলংকারে বাজেনি, তা ঝলসে উঠেছে নিজস্ব চেতনার আলোয়। যে আলো কবি অর্জন করেছেন গুরু দীক্ষায়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
      1
23242526272829
30      
  12345
20212223242526
2728293031  
       
15161718192021
2930     
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com