মাজহারুল রাসেল : নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলা সবুজে ভরে উঠেছে ইরি বোরো ফসলের মাঠ। কোথাও এতটুকুও ফাঁকা নেই,যতদুর দৃষ্টি পড়ে সবুজ আর সবুজ, দিগন্ত জুড়ে নীল আকাশের সাদা মেঘের ঢেলা যেন, সবুজের গাঢ় রঙ্গে একাকার হয়ে ঢলে পড়েছে। নতুন সাজে সেজেছে প্রকৃতি,এক নজর তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, এবছর এই উপজেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা থাকলেও, চাষ হয়েছে আরও অধিক পরিমাণ হেক্টর জমিতে,যা লক্ষমাত্রার চেয়েও বেশি।
পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও গ্রামের কৃষক হানিফা বলেন এই বছর গতবছরের চেয়ে ভালো ফলন পাবো বলে আশা করি।
কারণ হিসেবে উনি বলেন আমরা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাছ থেকে বীজ ও সার বিনামূল্যে পেয়েছি।
এবং কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার আমাদেরকে নানাভাবে শুপরামর্শ দিয়েছেন।
বারদী ইউনিয়নের গোয়াল পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ ওয়ালিম জানান,
তিনি এবছর ৩০ বিঘা জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ করেছেন।
তিনি তার চাষকৃত ধান গাছের আকৃতি দেখে খুবই সন্তুষ্ট।
আশায় আছেন প্রতিবছরের ন্যায় সারা বছরের খাদ্যের অভাব মিটিয়ে বাজারে ধান বিক্রি করে কিছু টাকা সঞ্চয় করতে পারবে।
তার মতে কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার খুবই ভালো মনের মানুষ তিনি সর্বদা কৃষকের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন এবং ভালো পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার জানান, বরাবরের ন্যায় এবারো ব্রি-২৯, ব্রি-২৮ ব্রি-৫০,ব্রি-৫৮,ব্রি-৮১ ও বিআর -১৬ জাতের ধান চাষ হয়েছে বেশি। এই কর্মকর্তা বলেন, ফলন যাতে ভাল হয় এজন্য তাঁরা নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। করোনাকালীন বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে ২৫০ জন কৃষকের মাঝে সার ও ধানের বীজ বিতরণ করা হয় এবং ১৩০০ জন কৃষকের মাঝে শুধু ধানের বীজ বিতরণ করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে এবছর ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে,প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে,আবারো নতুন ধানে ভরে উঠবে কৃষকের গোলা। এই প্রত্যাশা করছেন চাষিরা।